মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা কার্যক্রম ২৭ জানুয়ারি শুরু

কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার। ছবি: রয়টার্স

অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। 

দেশটির নিয়োগকর্তারা ২৭ জানুয়ারি থেকে লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের (আরটিকে) মাধ্যমে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন শুরু করতে পারবেন।

গতকাল বুধবার ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল জাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

আরটিকে ২.০ এ একটি ব্রিফিং সেশনে তিনি জানান, নিয়োগকর্তারা ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ পাওয়ার আগে জেআইএম https://imigresen-online.imi.gov.my/myimms/main এর মাধ্যমে  অনলাইনেও আবেদন করতে পারবেন।

তিনি বলেন, 'একবার তাদের অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ হয়ে গেলে, নিয়োগকর্তাদেরকে পুত্রজায়ার জেআইএম সদর দপ্তরের বিদেশি কর্মী বিভাগে যেতে হবে বা যাচাইয়ের জন্য নিবন্ধিত বিদেশি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের জিআইএম অফিসে যেতে হবে।'

মহাপরিচালক জানান, অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হতে মাত্র একদিন সময় লাগবে। এ প্রক্রিয়া শেষ হলে নিয়োগকর্তারা বিদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবে। এর জন্য ফরেন ওয়ার্কার্স মেডিক্যাল এক্সামিনেশন মনিটরিং এজেন্সির (ফমিমা) মাধ্যমে যেতে হবে, যার মাধ্যমে বলা হবে তারা সুস্থ আছেন এবং তাদের নিজ নিজ সেক্টরে কাজ করতে সক্ষম হবেন।

'পরবর্তী প্রক্রিয়াটি হবে পুনর্নির্মাণ ফি, ভিসা, অস্থায়ী কাজের ভিজিট পাস (পিএলকেস), প্রক্রিয়াকরণ ফি এবং শুল্ক প্রদান। যখন সব নথির কাজ শেষ হবে, নিয়োগকর্তারা পিএলকেস মুদ্রণ করতে পারবেন,' বলেন খায়রুল জাইমি দাউদ।

তিনি আরও বলেন, 'ইমিগ্রেশন কখনোই কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে এজেন্ট বা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করেনি। আরটিকে প্রাথমিকভাবে গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছিল। এ প্রক্রিয়া আবারও চলবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।'

মঙ্গলবার দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমার বলেন, 'বিদেশি কর্মী কর্মসংস্থান শিথিলকরণ পরিকল্পনাটি বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন এবং ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর ও সাব-সেক্টরের অনুমোদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য বাস্তবায়ন করা হয়েছে।'

এ সেক্টরগুলো হলো-উত্পাদন, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, কৃষি ও পরিষেবা হিসেবে শুধু রেস্তোরাঁ।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago