ইউক্রেনের বন্দর থেকে শস্য রপ্তানির চুক্তি আজ: তুরস্ক

বন্দরে আটকে আছে ইউক্রেনের পরিবহন জাহাজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
বন্দরে আটকে আছে ইউক্রেনের পরিবহন জাহাজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে আবারও শস্য রপ্তানি শুরুর জন্য মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে চুক্তি হতে যাচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, আজ শুক্রবার চুক্তিটি সই হবে বলে জানিয়েছে তুরস্ক।

তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়া বা ইউক্রেন তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এটি নিশ্চিত করেনি।

বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য উৎপাদনকারী দেশগুলোর অন্যতম রাশিয়া ও ইউক্রেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে সৃষ্ট বৈশ্বিক খাদ্য সংকট কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভিডিও বক্তৃতায় আভাস পাওয়া গেছে যে, কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো খুলে দেওয়া হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার নৌবহর কৃষ্ণ সাগর অবরুদ্ধ করে রাখায় বিশ্বজুড়ে ইউক্রেনের খাদ্য শস্যের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে খাবারের দাম ক্রমাগত বাড়ছে।

চুক্তির বিস্তারিত বর্ণনা এখনো জানা যায়নি। জাতিসংঘের মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তুরস্কে যাচ্ছেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসিপ এরদোয়ানের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ চুক্তি সই হবে।

জেলেনস্কি দেশের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, 'আমাদের বন্দরগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে তুরস্ক থেকে সংবাদ আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।'

বৈশ্বিক খাদ্য সংকট সৃষ্টির দায় নেয়নি রাশিয়া। তাদের দাবি, পশ্চিমের আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে তাদের নিজেদের খাদ্য ও সার রপ্তানি স্তিমিত হয়ে পড়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস গণমাধ্যমকে জানান, রাশিয়া যাতে চুক্তির শর্ত মেনে কাজ করে তা নিশ্চিত করার দিকে ওয়াশিংটন নজর রাখবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেসের দাবি, জাতিসংঘ ও তুরস্ক ২ মাস ধরে এই 'প্যাকেজ' চুক্তি নিয়ে কাজ করছে, যাতে কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি এবং রাশিয়ার সার ও শস্য রপ্তানির পথ সুগম হয়।

ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চল থেকে রপ্তানির জন্য খাদ্য শস্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চল থেকে রপ্তানির জন্য খাদ্য শস্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগে আরোপিত কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

তিনি আরও জানান, এই উদ্যোগ সফল হলে রাশিয়া থেকে কোনো বাধা ছাড়াই সার ও খাদ্যশস্য অন্যান্য দেশের রপ্তানি করা যাবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

8h ago