নিউ সাউথ ওয়েলসে ২০ হাজার মানুষ পুনরায় সংক্রমিত

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ মাসের মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
নিউ সাউথ ওয়েলসে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
নিউ সাউথ ওয়েলসে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ মাসের মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এরা সবাই গত বছরের জানুয়ারিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।

জানুয়ারিতে প্রথমবার যখন ওমিক্রন সংক্রমণের ঢেউ আঘাত হেনেছিল, তখন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩০ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য সংরক্ষণ করেছিল।

সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে।

সমন্বিত তথ্য মতে, আগের তালিকায় থাকা ২০ হাজার ৪৬০ জন মানুষ আবারও এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

সিডনি ইউনিভার্সিটির শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ নিক উড বলেন, 'যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং প্রথম সংক্রমণের পর থেকে শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তারা পরবর্তী সংক্রমণে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন।'

মহামারির প্রথম ২ বছরে অস্ট্রেলিয়া এই রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

সীমান্ত বন্ধ রাখা, প্রচুর পরিমাণে নমুনা পরীক্ষা, সতর্ক যোগাযোগ ট্রেসিং, স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন আরোপ এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকায় ২০২০ সালে শনাক্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৮ হাজার।

তবে ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় শনাক্তের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়ে যায়। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ডেল্টা ধারার কারণেই মূলত এই বৃদ্ধি।

২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় মহামারি ব্যাপক আকার ধারণ করে।

এই সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার হাসপাতালগুলোতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তির সংখ্যা ৫ হাজার ৩৫৯ জন। মহামারি শুরুর পর এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।

২৬ জুলাই পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া মোট ১১ হাজার ২৮৫ জন নাগরিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

আকিদুল ইসলাম : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago