ব্রহ্মপুত্রের স্রোত ঠেকাতে গ্রামবাসীর টাকায় বাঁশের পাইলিং

ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

ব্রহ্মপুত্র নদের স্রোত ঠেকাতে নিজেদের টাকায় ৫০ মিটার বাঁশের পাইলিং করছেন গ্রামের লোকজন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের বুকে দুর্গম পোড়ার চরের বাসিন্দারা গত শুক্রবার থেকে এ কাজ করছেন।

পাইলিং করতে সেই এলাকায় বসবাসকারী ৮৫ পরিবারের প্রত্যেকেই ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা দিয়েছেন।

বাঁশের পাইলিং তৈরির উদ্যোগ নেওয়া রাশেদ ইসলাম (৪৬) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্রহ্মপুত্রের পানির স্রোত এসে সরাসরি তাদের গ্রামে আঘাত হানে। তাই বাঁশের পাইলিং করছি। খরচ হচ্ছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা।'

তিনি আরও বলেন, 'স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সাড়া মেলেনি। কষ্টের মধ্যেও সবাই চাঁদা দিয়ে কাজ করছি। পাইলিং শেষ হলে স্রোতের গতি অনেকটা বাধা পাবে। গ্রাম রক্ষা পাবে।'

একই এলাকার হাবিবুর রহমান (৫০) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নৌকায় করে অনেক দূর থেকে বাঁশ কিনে এনেছি। সবাই এক সঙ্গে কাজ করছি।'

'এই চরে সবাই বানভাসি' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'অর্থনৈতিকভাবে সবাই সংকটে আছেন। অন্যের সাহায্যের ওপর জীবিকা নির্বাহ করছেন। এত কষ্টের মধ্যেও বাঁশের পাইলিং তৈরিতে সবাই এগিয়ে এসেছেন।'

স্থানীয় রহমত আলী (৬৩) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রায় ৩ মাস আগে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বসতভিটা-আবাদি জমি হারিয়ে নতুন চরে উঠেছি। বসতভিটা এখনো উঁচু করা হয়নি। বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। আশা করি, বাঁশের পাইলিং কিছুটা হলেও স্রোত ঠেকাবে।'

এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কোনো সহায়তা করছেন না বলেও তিনি জানান।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাঁশের পাইলিং তৈরির জন্য কেউ আসেননি। বিষয়টি জানি না। গ্রামের মানুষ নিজ উদ্যোগে বাঁশের পাইলিং করছেন। আমি তাদের পাশে দাঁড়াবো।'

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s deadly order

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

3h ago