পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ ও পদত্যাগ দাবি

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। স্টার ফাইল ফটো।

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজামণ্ডপে হামলা নিয়ে 'মিথ্যা প্রচারণা' বিষয়ক এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর মণ্ডপ তৈরি সংক্রান্ত যে বক্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত এক যৌথ বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের পদত্যাগও দাবি করেছে সংগঠন দুটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে সাক্ষাতকালে বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও পূজামণ্ডপে হামলা এবং ভাঙচুর নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা হয়। তিনি আরো বলেছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে।

ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ এবং পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, 'পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেনেশুনে প্রকৃত সত্যের অপলাপ করেছেন এবং শাক দিয়ে মাছ ঢাকার নিস্ফল চেষ্টা করেছেন। প্রকৃত অর্থে পঁচাত্তর-পরবর্তী সময় থেকে বিভিন্ন সময়ে এ দেশে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী বিশেষভাবে হিন্দু সম্প্রদায় এবং তাদের উপাসনালয় পূজামণ্ডপ আক্রান্ত হয়ে চলেছে, যার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে আসছে। প্রকৃত ঘটনা এর চেয়েও অনেক বেশি।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত বছর শারদীয় দুর্গাপূজার সময় দেশে ২৬টি জেলায় পূজামণ্ডপে হামলার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সারাদেশে 'ধিক্কার মিছিল' করেছিল হিন্দু সম্প্রদায়। অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে– এটিও সত্যের অপলাপ। বাংলাদেশে প্রতিটি পূজামণ্ডপ ও পূজার সার্বিক আয়োজন উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে করে থাকে।

এ অবস্থায় ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা  'নির্জলা মিথ্যাচারের' দায় মেনে নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্রুত পদত্যাগের দাবি জানান বিবৃতিতে।

Comments

The Daily Star  | English

Interim govt's delaying election process raising public concerns: Fakhrul

Criticising the chief adviser's recent suggestion to lower the voting age to 17, Fakhrul said the move would put the Election Commission (EC) on pressure.

1h ago