পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরোধিতাকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু: হাইকোর্ট

তত্ত্বাবধায়ক সরকার
স্টার ফাইল ফটো

যারা পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরোধিতা করেছে, তারা দেশ ও জাতির শত্রু এবং তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে।

আজ সোমবার হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে এ কথা জানিয়েছেন।

বিচারপতি ম. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ম. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ বলেন, 'পদ্মা সেতু একটি জাতীয় সম্পদ এবং আমাদের গর্বের বিষয়। যদি কোনো চক্রান্ত না থাকতো, তাহলে কেন পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেছিল? যারা পদ্মা সেতু এবং এ ধরনের উন্নয়নের বিরুদ্ধে, তারা দেশ ও জাতির শত্রু, এবং তাদেরকে খুঁজে বের করা উচিৎ।'

হাইকোর্টের বেঞ্চ ৫ বছর আগের একটি সুয়োমটো (ঐচ্ছিক) রুলের ওপর শুনানির সময় এই পর্যবেক্ষণ করেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পকে ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগের চক্রান্ত নিয়ে 'যারা মিথ্যে গল্প তৈরি করেছে', তাদের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিশন তৈরির বিষয়ে এই রুলটি জারি করা হয়েছিল।

আদালত এই রুলের বিপরীতে আরও শুনানি ও নির্দেশের দেওয়ার জন্য নির্ধারিত দিন হিসেবে আগামীকালের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সরকারের প্রতি একটি রুল জারি করে ২ সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলে, কেন পদ্মা সেতু প্রকল্পকে ঘিরে দুর্নীতির চক্রান্তের 'মিথ্যে গল্প তৈরির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের' চিহ্নিত করার জন্য একটি তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং কেনো এ ধরনের গল্পের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হবে না।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের তৎকালীন বেঞ্চ গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে এই সুয়োমটো রুল জারি করেন। বেঞ্চ কানাডার একটি আদালতের সিদ্ধান্তের উল্লেখ করেন, যেখানে দুর্নীতির চক্রান্তে অভিযুক্ত ৩ ব্যক্তিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০১১ সালে এ প্রকল্পের প্রস্তাবিত মূল অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্ব ব্যাংক এ অভিযোগ আনে এবং এক পর্যায়ে সংস্থাটি প্রকল্প থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নেয়। পরবর্তীতে, কানাডার পুলিশ এসএনসি-লাভালিন নামের একটি কানাডীয় নির্মাণ সংস্থার কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

রোববার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) অ্যাডভোকেট এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক হাইকোর্টের বিচারপতি ম. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ম. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের কাছে এই রুলের বিপরীতে শুনানির আয়োজন ও এই রুলটি প্রত্যাহারের প্রার্থনা জানান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিকের সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টার যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সরকার হাইকোর্টের রুল অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য কিছু উদ্যোগ নিয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

6h ago