‘একসঙ্গে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সক্ষমতা-সামর্থ্য-প্রস্তুতি ইসির নেই’
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, এই মুহূর্তে একসঙ্গে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সক্ষমতা-সামর্থ্য ও প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের নেই।
আজ শুক্রবার শরীয়তপুরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'তাও যে ১২০ হতে ১৩০টি আসনের ভোট নেওয়ার সক্ষমতা আছে, সেই মেশিনগুলো যে সঠিক সেটা যাচাই-বাছাই করতে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলব। বিভিন্ন দলের কথা শুনব, তারা কী মত দেন। তারা যদি বলেন ইভিএমে সমস্যা, তাহলে বলব মনোনীত এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ) টিম দিয়ে পরীক্ষা করুন। ত্রুটি ধরিয়ে দেন। আর ক্রুটি না থাকলে সার্টিফিকেট দেন। সেখানে যে ত্রুটি দেখা দেবে তা সমাধান করে সিদ্ধান্ত হবে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে কিনা।'
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, '২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে এমন খবর প্রচারিত হচ্ছে। তা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। পক্ষে-বিপক্ষে কথাবার্তা হচ্ছে। তা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। ইভিএমে ভোট নেওয়ার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।'
কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তিনি বলেন, 'আগের কমিশনের ভেতরে একরকম কথা হতো। আর বাইরে এসে কোনো সদস্য বিপরীতমুখী উল্টা-পাল্টা কথা বলতেন। এই কমিশনে সেটা হবে না। এই কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারই সব বলবেন।'
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, 'এটা আমাদের প্রথম টেস্ট কেস। কুমিল্লার ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। নির্বাচনের আগের দিন থেকে সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকবে।'
আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়ার বিষয়ে কমিশনের কোনো উদ্যোগ আছে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশ নেওয়া তাদের এখতিয়ার। নির্বাচনে আনা বা না আনা আমাদের বিষয় না। তারপরও প্রত্যেক দলকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব। একবার না একাধিক বার আমন্ত্রণ জানাব। আসবে কী আসবে না সেটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। এটা বলা সঠিক হবে না। তারা বলছেন, কিন্তু রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। পরিস্থিতি কখন কী হয় কেউ বলতে পারবে না। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলোচনা করা।'
তিনি আরও বলেন, 'একবার নয়, যতবার প্রয়োজন ততবার আলোচনা করব। তাদের সমস্যাগুলো শুনব। সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। আমরা লক্ষ্য রাখছি, সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে কী বলা হচ্ছে তা শুনছি। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাব। নির্বাচনে কে আসল কে আসল না সেটা আমাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয় নয়। কেউ যদি না আসে তার জন্য তো নির্বাচন বন্ধ থাকতে পারবে না। নির্বাচন বন্ধ থাকলে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। আমরা চাইবো সর্বোচ্চ সংখ্যক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমরা করব। সেই প্রচেষ্টা ইসির থাকবে।'
Comments