ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ, ধরলা সেতুর সুবিধা পাচ্ছে না এলাকাবাসী
ধরলা নদীর উপর ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা ধরলা সেতু উদ্বোধনের পরও কুড়িগ্রাম জেলার ৩টি এবং লালমনিরহাটের একটি উপজেলায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রত্যাশিতভাবে বাড়েনি। ধরলা সেতুর প্রবেশপথ লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট এলাকায় রত্নাই নদীর উপর বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ও অপ্রশস্ত হওয়ায় উন্নয়ন কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়িরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট এলাকায় রত্নাই নদীর উপর বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপুর্ণ ও অপ্রশস্ত হওয়ার কারণে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলা এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও তেমন গতি পাচ্ছে না। বেইলি ব্রিজটির কারণে ব্যবসায়িরা নবনির্মিত ধরলা সেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ব্রিজটি ঝুঁকিপুর্ণ ও অপ্রশস্ত হওয়ায় লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করতে পারছেন না।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ব্যবসায়ি সহিদার রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রত্নাই নদীর ওপর ঝুঁকিপুর্ণ ও অপ্রশস্ত বেইলি ব্রিজটির ওপর দিয়ে বড় আকারের পণ্যবাহী যান চলাচলে করতে না। ফলে তারা নবনির্মিত শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর সুবিধা নিতে পারছেন না।'
তিনি বলেন, 'এ বেইলি ব্রিজটি আমাদের ব্যবসা-বানিজ্যের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নবনির্মিত ধরলা সেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।'
একই উপজেলার আরেক ব্যবসায়ি মোক্তারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হলে ২০৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন ধরলা সেতুটিকে ব্যবহার করতে হবে। রত্নাই নদীর ওপরের বেইলি ব্রিজটিকে যত দ্রুত সম্ভব একটি শক্তিশালী ও প্রশস্ত সেতু দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে।'
একই কথা জানিয়ে লালমনিরহাটের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শেখ আবদুল হামিদ বাবু হতাশাজনকভাবে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রত্নাইয়ের ওপর একটি নতুন সেতুর জন্য তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে একাধিকবার আবেদন জানিয়েছেন কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।'
তিনি বলেন, 'যদি রত্নাই নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর জায়গায় একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়, তাহলে আমাদের এ অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে নতুন সেতু নির্মাণ করবে এটা আমাদের দাবি।'
লালমনিরহাটের সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রত্না নদীর ওপর অরক্ষিত ও অপ্রশস্ত বেইলি ব্রিজের স্থানে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩৮ দশমিক ৪৪ মিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার চওড়া একটি মজবুত ও প্রশস্ত সেতু নির্মাণের জন্য শিগগির দরপত্র আহ্বান করা হবে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।'
Comments