মুগ ডালের ফলনে খুশি কৃষক, শ্রমিক সংকটে ফসল তোলা ব্যাহত

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামে মুগডালের খেত। শ্রমিক সংকটে মাঠ থেকে ফসল তোলা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। ছবি: টিটু দাস।

পটুয়াখালীতে এবার মুগ ডালের ভালো ফলনে খুশি কৃষক। দামেও সন্তুষ্ট। তবে খেত থেকে ডাল তোলায় শ্রমিক সংকটের কারণে ফসল তোলা ব্যাহত হচ্ছে।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার  ৮৬ হাজার ৪৩১ হেক্টর জমিতে মুগ ডাল চাষ  হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডাল হয়েছে সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৩১৩ হেক্টর জমিতে, বাউফলে ১৬ হাজার ১৪১ হেক্টর, গলাচিপায় ১৫ হাজার ৫০০ হেক্টর, রাঙ্গাবালীতে ১২ হাজার ৯৫০ হেক্টর, দশমিনায় ১২ হাজার ৪৬২ হেক্টর, মির্জাগঞ্জে ৪ হাজার ৯৮৫ হেক্টর, কলাপাড়ায় ৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর ও দুমকিতে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।

উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৭১৭ মেট্রিক টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার মুগ ডালের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছেন। দেশি জাতের প্রতিমণ মুগ ডাল ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায় ও হাইব্রিড জাতের ডাল ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জেলায় উৎপাদিত মোট মুগ ডালের ৪৯ শতাংশ ইতোমধ্যেই কৃষকরা ঘরে তুলতে পেরেছেন এবং বাকি ৫১ শতাংশও আংশিক ঘরে তুলেছেন। তবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় আমরা কৃষকদের দ্রুত ডাল ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছি।

তবে কৃষকরা ডাল তুলতে এখন শ্রমিক সংকটে পড়েছেন। ঈদের ছুটিতে এ সংকট আরও বেড়েছে। ঈদের আগে ডাল শ্রমিকদের উত্তোলিত ডালের এক-তৃতীয়াংশ দিতে হতো কিন্ত্র এখন তাদেরকে ডালের অর্ধেকটাই দিতে হচ্ছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম জানান, তিনি ৫ একর জমিতে মুগ ডালের চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি প্রতিমণ ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে ১০ মণ ডাল বাজারে বিক্রিও করেছেন। ভালো ফলন আর ভালো দামে তিনি খুশি।

গলাচিপা উপজেলার বাউরিয়া গ্রামের কৃষক ইউনুস হাওলাদার এবার ৬ একর জমিতে মুগ ডালের আবাদ করেছেন। তবে তিনি শ্রমিক সংকটের কারনে ডাল তুলতে পারছেন না। তিনি জানান ঈদের কারণে অনেক শ্রমিক কাজে আসছেন না। এ কারণে কিছু ডাল খেতেই ঝরে যাচ্ছে।

একই এলাকার আরেক কৃষক সুলতান হাওলাদার জানান, ঈদের আগে ডাল শ্রমিকদের এক-তৃতীয়াংশ দিতে হতো এখন শ্রমিক সংকটের কারণে তাদের ডালের অর্ধেকটা দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের লোকসান হচ্ছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আউয়াল জানান, রবি মৌসুমে এখানে তরমুজের পরই বেশিরভাগ জমিতে মুগডালের আবাদ হয়। অপেক্ষাকৃত কম শ্রম দেয়ার কারণে কৃষকরা  এ ফসলটি উৎপাদনে আগ্রহী।

Comments

The Daily Star  | English

The wrongs of past 15yrs must be righted

The Daily Star spoke to BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir on a host of issues ranging from elections to media freedom 

14h ago