২ নির্বাচিত অভিভাবককে মারধর, ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মানিকগঞ্জে একটি স্কুল কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচন নিয়ে দুই অভিভাবককে মারধরের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিম খানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা আনন্দমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালতে মামলাটি করেন আহত অভিভাবক সদস্য মো. মহিউদ্দিন খান মঞ্জু।
মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন, হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ওরফে ফিরোজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি সেলিম মোল্লা ও যুবলীগ নেতা ফরিদ মোল্লা।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনের কথাও বলা হয়েছে।
এই মামলার সব আসামিই মানিকগঞ্জ-২ (হরিরামপুর-সিঙ্গাইর) আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের অনুসারী।
মামলায় বলা হয়েছে, গত ২৪ জুলাই স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান প্রার্থী হন। মামলার বাদি মহিউদ্দিন খান ও সাক্ষী (স্থানীয় গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) মিজানুর রহমান অভিভাবক সদস্য ও ভোটার। তারা দেওয়ান সাইদুর রহমানের সমর্থক।
নির্বাচন উপলক্ষে সেদিন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ উপস্থিত হন। ওই দুই ভোটার নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে ভোট দিতে বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপস্থিত হলে সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের সমর্থক ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে তাদেরকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সামনে মারধর করেন।
সেসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সমর্থকদের কয়েকজনের কাছ থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণের চেইন ও মূল্যবান মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
পরে নির্বাচনী ব্যালট পেপার ছিনতাই ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট গোলাম সরোয়ার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।
এ ব্যাপারে পিবিআইয়ের মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'আদালতের নির্দেশনার কাগজ আমার হাতে পৌঁছায়নি। পেলে নির্দেশনা মোতাবেক আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
Comments