বেনাপোলে ভ্রমণ কর ফাঁকি চক্রের ২ সদস্য আটক
বেনাপোল বন্দরের ভ্রমণ কর ফাঁকি ও নকল করোনা সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভ্রমণ কর জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার আ. রশিদ মিয়াকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আ. রশিদ মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কাস্টমসের আইআরএম টিম ২৮ যাত্রীর কাছ থেকে ভ্রমণ করের জাল রশিদ জব্দ করে। কর ফাঁকির জালিয়াতির ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে কী পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে তা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, যাত্রীদের ভ্রমণ করের রশিদ জাল করে রাজস্ব ফাঁকির ঘটনায় কাস্টমসের দায়ের করা মামলায় জালিয়াত চক্রের ৯ জনকে আসামি ও অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে ২ জনকে আটক করেছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। করোনার নকল সনদ তৈরি চক্রের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভ্রমণ করের রশিদ জালিয়াতির ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনের নামে মামলা করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এফ এম আতিকুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গত শুক্রবার রাতে ভ্রমণ কর জালিয়াতির ঘটনায় গ্রিন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার জসীম উদ্দিন ও শনিবার সকালে একই পরিবহন স্টাফ মোহন মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
মামলার বাদী এফ এম আতিকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের আইআরএম টিম বৃহস্পতিবার বিকেলে কাস্টমস চেকপোস্ট যাত্রীদের ট্রাভেল ট্যাক্স রশিদ অনলাইনে কিউআর কোড স্ক্যান করলে কিছু যাত্রীর ভ্রমণ কর রশিদ জাল প্রমাণিত হয়। গ্রিন লাইন পরিবহনের ১৩ যাত্রী, হানিফ পরিবহনের ৮ যাত্রী, দেশ ট্রাভেলসের ৭ যাত্রীর ভ্রমণ করের রশিদ জাল প্রমাণিত হয়।'
এরপর পুলিশ ও কাস্টমস যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে চেকপোস্টে কম্পিউটার দোকান থেকে জাল ট্রেজারি চালান ফরম ২ পাতা, ১টি হিটাচি ব্রান্ডের এ ইউ জি-২০১০ মডেলের হার্ডডিস্ক, ১টি ডব্লিউ ডি ব্লু ডেস্কটপ হার্ড ড্রাইভ, ১টি ডব্লিউ ডি গ্রিন ডাটা এসএসডি, ১টি লেজার সলিড স্টেট ড্রাইভ জব্দ করেছে।
Comments