১০ দিনে বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি অর্ধেকে নেমেছে
স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে।
বেনাপোলের ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বর্তমানে আমদানি ট্রাকের সংখ্যা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ও রপ্তানি কমে ৫০ থেকে ১০০ ট্রাকে এসেছে।
জানা গেছে, বেনাপোল ও পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সপ্তাহে সাতদিনই ২৪ ঘণ্টা পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমোদন থাকলেও গত ১০ দিন ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে কার্যক্রম বন্ধ রাখছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
এর ফলে, ওপারে পেট্রাপোল বন্দরে ৭০০ ট্রাক এবং বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে ১৫০০ পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। ট্রাকগুলো গত আট দিন ধরে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ১০ চাকার ট্রাকে ১৫০০ রুপি ও ছয় চাকার ট্রাকে ১০০০ রুপি মাশুল গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন।
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স সূত্রগুলো জানায়, আটকে থাকা পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগই শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল, মেশিনারিজ ও গার্মেন্টসের কাঁচামাল।
বেনাপোল কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান বলেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ও কারফিউতে আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে। বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারিও কমে গেছে। ওপারে পণ্যবোঝাই ট্রাকের দীর্ঘ লাইন পড়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে ভারত থেকে ৩৩৫ থেকে ৩৭০ ট্রাক পণ্য আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ৪০ থেকে ৮০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, কারফিউ ঘোষণার এক সপ্তাহ আগে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের বিভিন্ন সংগঠন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়। এটা সরকারি সিদ্ধান্ত নয়। সে দেশের বিভিন্ন সংগঠন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরের ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
Comments