শিনজো আবেকে শেষ বিদায়

শিনজো আবের মরদেহ বহনকারী গাড়িকে সম্মান জানানো হচ্ছে। ছবি: এপি
শিনজো আবের মরদেহ বহনকারী গাড়িকে সম্মান জানানো হচ্ছে। ছবি: এপি

আততায়ীর গুলিতে নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে চোখের পানিতে চিরবিদায় জানিয়েছেন জাপানের নাগরিকরা। আজ বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জোজোজি মন্দিরে অনুষ্ঠিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় শুধুমাত্র আবের নিকটজন, পরিবারের সদস্য, প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশ নেন।

আবের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মন্দিরের বাইরে অসংখ্য মানুষ জমায়েত হন।

এ সময় অনেক শোকসন্তপ্ত মানুষকে কাঁদতে দেখা যায়। অনেকের হাতে ছিল ফুল, কাগজে লেখা শোকবার্তা ও অন্যান্য উপহার, যেগুলো তারা মন্দিরের বাইরে সুনিদৃষ্ট জায়গায় রাখেন।

সোমবার রাতে মন্দিরে একটি 'প্রাইভেট ওয়েক' অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন আবে শিনজোর স্ত্রী আকি আবে, অন্যান্য আত্মীয়স্বজন ও অতিথিরা।

জোজোজি মন্দিরে শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ছবি: রয়টার্স।
জোজোজি মন্দিরে শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ছবি: রয়টার্স।

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হওয়ার পর মরদেহ বহনকারী গাড়ি ও সঙ্গে আরও বেশ কিছু গাড়ির বহর উপস্থিত দর্শনার্থীদের পাশ দিয়ে চলে যায়।

প্রথমে গাড়ির বহরটি টোকিওর মূল রাজনৈতিক প্রধান কার্যালয় নাগাতা-চোতে যায়, যেখানে আবে ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় ৩ দশকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। এরপর গাড়িগুলো দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যায়, যেখানে জ্যেষ্ঠ নেতারা কালো পোশাকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আবের প্রতি সম্মান জানান। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসে পৌঁছায় বহরটি।

প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তার ক্যাবিনেট শিনজো আবের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছেন। ছবি: এপি

সেখানে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তার ক্যাবিনেটের সদস্যরা বুকের ওপর হাত রেখে আবের জন্য প্রার্থনা করেন ও তার প্রতি সম্মান জানান। সবাই মাথা নিচু করে জাপানি কায়দায় সম্মান জানানোর পর গাড়ির বহরটি কিরিগায়াতে অবস্থিত একটি অন্ত্যষ্টিক্রিয়া হলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেখানে বিধবা স্ত্রী আকি আবের উপস্থিতিতে শিনজো আবের মরদেহ দাহ করা হবে।

শিনজো আবের মরদেহ বহনকারী গাড়িতে ছিলেন তার বিধবা স্ত্রী আকি আবে। ছবি: এপি
শিনজো আবের মরদেহ বহনকারী গাড়িতে ছিলেন তার বিধবা স্ত্রী আকি আবে। ছবি: এপি

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল জাপানের শান্তিকামী সংবিধানের সংস্কার করা, যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। তিনি জাপানের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পূর্ণাঙ্গ সেনাবাহিনীতে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
 Al Bakhera killings Al Bakhera killings

Killings in Chandpur: Water transport workers go on strike

Water transport workers has started an indefinite strike from midnight

2h ago