জাপানের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার 'ভালো বন্ধু' জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, জাপানের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

টোকিওয় বাইডেনের ২ দিনের সফরের মূল কার্যক্রমের মধ্যে আছে 'কোয়াড' জোটের সদস্য জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা।

বৈঠকে এশিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে মার্কিনীদের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক অবকাঠামো চালুর কথা রয়েছে।

আকাসাকা প্রাসাদে কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে বাইডেন বলেন, 'মার্কিন-জাপান জোট দীর্ঘদিন ধরে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধির ভিত্তিমূল হিসেবে কাজ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র জাপানকে সুরক্ষিত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।'

এর আগে তিনি সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে প্রাসাদ ফটকে অল্প সময়ের জন্য দেখা করেন।

জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স
জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন মার্কিন জনগণের পক্ষ থেকে সম্রাটকে শুভেচ্ছা জানান এবং শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্র-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

২ দেশের আলোচনায় জাপানের সামরিক সক্ষমতা সম্প্রসারণের পরিকল্পনার বিষয়টি উঠে আসবে। সম্প্রতি, চীনের সামরিক শক্তিমত্তা বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে জাপান এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।

এ মুহূর্তে, এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সুসম্পর্ক ও স্ব-শাসিত তাইওয়ান নিয়ে তাদের মনোভাব নিয়ে। তাইওয়ানকে বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে চীন।

উত্তর কোরিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয়গুলোও বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় স্থান পাবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

দিনের মূল কার্যক্রম হবে বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটি (আইপিইএফ) প্রকল্পের উদ্বোধন। এটি এমন প্রকল্প, যার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো সাপ্লাই চেইনের সহনশীলতা, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, অবকাঠামো ও ডিজিটাল বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলো একই মানদণ্ড অনুসরণ করবে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুজাতিক বাণিজ্য চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এতদিন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেশটির কোনো অর্থনৈতিক স্তম্ভ ছিল না। ফলে চীন এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রভাব আরও বাড়াতে সক্ষম হয়।

এশিয়ার মানুষের মূল চাহিদা যুক্তরাষ্ট্রে আরও চাকরির সুযোগ পাওয়া। তা বাইডেনের নতুন চুক্তিতে অনুপস্থিত। এশিয়ার দেশগুলো ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা আইপিএফ প্রকল্পের প্রতি শীতল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের মতে, বাইডেন মার্কিন নাগরিকদের চাকরিকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাননি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অস্ট্রেলিয়ার সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের 'কোয়াড' আলোচনায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে বাইডেন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে জাপানে পৌঁছান। তিনি আগামী মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টদের জন্য নির্মিত বিলাসবহুল জেট এয়ার ফোর্স ওয়ানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পথে রওনা হবেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago