পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সিউলের পথে বাইডেন

বৈশ্বিক রাজনীতিতে চলমান বিরূপ পরিস্থিতি ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তেজনার মধ্যে সিউল সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সিউলের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স

বৈশ্বিক রাজনীতিতে চলমান বিরূপ পরিস্থিতি ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তেজনার মধ্যে সিউল সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আজ শুক্রবার বাইডেন দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সিউলে নামবেন।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রথম এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে তিনি সিউল ও টোকিও যাচ্ছেন।

প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়, সিউলে বাইডেনকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তবে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের কাছ থেকে তিনি কোনো অভিনন্দন বার্তা পাবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।

সফরকালে বাইডেন দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর, তারা স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের একটি কারখানা পরিদর্শনে যাবেন।

আজ প্রেসিডেন্ট ইউন তার কার্যালয়ের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, 'আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে অনেক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আমার মনে হয়, এমন পরিস্থিতিতে বাইডেনের সফর যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার মৈত্রীকে আরও শক্তিশালী করার সুযোগ হিসেবে কাজ করবে।'

এ সফরকালে উত্তর কোরিয়া কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে কিনা?—উত্তরে বাইডেনের সফরসঙ্গী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, 'এরকম কোনো ঘটনার জন্য আমরা প্রস্তুত। আমরা মিত্রদের পাশাপাশি চীনকেও বলেছি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সফরকালে কোনো উসকানিমূলক আচরণ করা হলে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে তাদের সেনাবাহিনীকে বিষয়টি দেখতে বলবে।'

'উত্তর কোরিয়ার উসকানির মুখে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা আরও সুসংহত হবে', যোগ করেন তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে মোকাবিলায় তার পূর্বসূরির চেয়ে আরও কঠোর হবেন।

প্রতিবেদন মতে, এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইউন হয়তো মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে সহযোগিতা চাইতে পারেন।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং দেশটিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ।

এমন পরিস্থিতিতেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব নাকচ করেছে পিয়ংইয়ং।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের সঙ্গে যেকোনো মুহূর্তে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে আলোচনার বিষয়বস্তু কি হতে পারে, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।

Comments