কিমকে বাইডেনের ‘হ্যালো’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
দক্ষিণ কোরিয়ার সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স

ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে সংক্ষিপ্ত বার্তা দিয়েছেন।

আজ রোববার দক্ষিণ কোরিয়া সফরের শেষ দিনে বাইডেন এই বার্তা দেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া ছেড়ে জাপানের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় সাংবাদিকরা বাইডেনের কাছে জানতে চান, কিমের উদ্দেশ্যে তার কোনো বার্তা আছে কি না। উত্তরে তিনি বলেন, 'হ্যালো...পিরিয়ড'।

বাইডেন জানান, তিনি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার বিষয়ে 'চিন্তিত নন'। দেশটির সর্বশেষ পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার পর ৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে।

বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার শুরু থেকেই উত্তর কোরিয়া ও কিম সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে খুবই কম গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে, দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত উত্তেজনা এখনও টিকে রয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: কেসিএনএ

পিয়ংইয়ং প্রসঙ্গে বাইডেনের নীতি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসরণ করা নীতির একেবারেই বিপরীত। ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকও হয়েছিল।

উত্তর কোরিয়া তাদের সবচেয়ে বড় পাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করেছে। গোয়েন্দা তথ্য মতে, দেশটি নতুন পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, 'উত্তর কোরিয়া যাই করুক না কেন, আমরা প্রস্তুত আছি।'

শনিবার বাইডেন ও তার নতুন দক্ষিণ কোরীয় মিত্র প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল আরও বড় আকারের যৌথ সামরিক মহড়া আয়োজনে একমত হন এবং উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ অঞ্চলে আরও পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন মার্কিন অস্ত্র মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল  বাইডেনকে স্বাগত জানান। ছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বাইডেনকে স্বাগত জানান। ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি, উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আসা আলোচনার আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এমনকি, করোনার টিকা পাঠানোর প্রস্তাবেও কোনো উত্তর দেয়নি পিয়ংইয়ং।

বাইডেন আজ জানান, কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তিনি কিমের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন।

এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, উত্তর কোরিয়ার করোনা পরিস্থিতির কারণে হয়তো তারা মার্কিনদের আহ্বানে সাড়া দিতে দেরি করছে।

উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, মার্কিনদের প্রস্তাব অন্তঃসারশূন্য। কারণ, ওয়াশিংটন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক মহড়া ও নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ 'বৈরী নীতি' অবলম্বন করে।

কোরীয় উপদ্বীপে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে বাইডেন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন কি না, জানতে চাইলে মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, 'এটা এমন সিদ্ধান্ত, যা শুধু উত্তর কোরিয়া নিতে পারে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Pope Francis dies at 88

His death came just a day after he delighted the crowds of worshippers at the Vatican on Easter Sunday with an appearance on the balcony at Saint Peter's Basilica.

1h ago