মাংস সংকটে রাজধানীর খাবারের হোটেলগুলো

ঢাকার গুলিস্তানে মোল্লা হোটেলে আজ গরুর মাংসের কোন পদ রান্না হচ্ছে না। এখানকার খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিফ খিচুড়িও।
মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় ধর্মঘটের প্রথম দিন অলস সময় পার করতে দেখা যায় মাংসের দোকানদারদের। ছবি: স্টার

ঢাকার গুলিস্তানে মোল্লা হোটেলে আজ গরুর মাংসের কোন পদ রান্না হচ্ছে না। এখানকার খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিফ খিচুড়িও।

আজ থেকে রাজধানীতে মাংসের দোকানদারদের ছয় দিনের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। গত রাতে কোন গরু জবাই না হওয়ায় অনেক হোটেল মালিক ও ক্রেতাকে মাংস না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে।

ঢাকার একমাত্র গবাদি পশু কেনাবেচার স্থানীয় হাট গাবতলিতে ইজারাদারদের ‘উচ্চ মাত্রায় ট্যাক্স’ বন্ধের দাবিতে মাংস ব্যবসায়ীরা এই ধর্মঘটের ডাক দেন।

মোল্লা হোটেলের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মইন জানান, প্রতিদিন তার হোটেলে প্রায় ২০ কেজি মাংস প্রয়োজন হয়। কিন্তু গরু ও ছাগলের মাংসের দোকান বন্ধ থাকায় চাহিদা মেটাতে বাড়তি পরিমাণ মুরগি কিনতে হয়েছে তাকে।

দক্ষিণ ঢাকার অন্যমত ব্যস্ত কাঁচাবাজার কাপ্তান বাজারে দিয়ে দেখা যায় মাংসের দোকানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানকার মাংস ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি মজিবর জানান, প্রতিদিন এখানে ৫০টি গরু জবাই করা হয়। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে আজকে বাজারের এই অংশটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

আসগর এন্টারপ্রাইজের মালিক আসগর আলী বলেন, বৈধ লাইসেন্স থাকার পরও গরুর দাম ৫০ হাজারের একটু বেশি হলেই আর সরকারি ট্যাক্সের নিয়ম মানে না ইজারাদাররা।

কাঁচাবাজারে মাংস বিক্রি বন্ধ থাকলেও সুপার শপ মিনা বাজার ও স্বপ্নে গরু ও ছাগল দুধরনের মাংসই বিক্রি হচ্ছে। স্বপ্নে কেজি প্রতি গরুর মাংসের দাম রাখা হচ্ছে ৪৬০ টাকা ও প্রতি কেজি ছাগলের মাংস ৬৯০ টাকা। অন্যদিকে মিনা বাজারে গরুর মাংস ৪৬৫ টাকায় ও ছাগলের মাংস ৭১৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Mob justice is just murder

Sadly, when one lynching can be said to be more barbaric than another, it can only indicate the level of depravity of some our university students

24m ago