টিআইবির প্রতিবেদন খারিজ করলেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী

আজ সকালে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্র্যান্টস (আরবিএম) এর সাথে ব্রিফিংকালে টিআইবির প্রতিবেদনকে খারিজ করে দেন মন্ত্রী নুরুল ইসলাম। ছবি: স্টার

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনকে “ভুল” আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন মন্ত্রী নুরুল ইসলাম।

গত বছর বাংলাদেশি পুরুষ কর্মীদের বিদেশ যেতে ঘুষ দিতে হয়েছে; টিআইবির এমন প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে টিআইবি ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।”

আজ সকালে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্র্যান্টস (আরবিএম) এর সাথে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

গত ৯ তারিখ প্রকাশিত টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বিদেশ যাওয়া প্রায় পাঁচ লাখ পুরুষ কর্মীর প্রায় ৯০ শতাংশকেই দুই থেকে তিনগুণ বেশি টাকা দিয়ে ভিসা নিতে হয়েছে। দেশ মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচটি দেশসহ সাতটি দেশে কর্মী পাঠানোয় এই অনিয়ম পেয়েছে টিআইবি।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোয় গন্তব্য দেশের ভিসা আবেদন অনুমোদন করাতে ও মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন স্তরে ঘুষ দিতে হয়েছে তাদের।

এই সেক্টরে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যর অভিযোগ সম্পর্কে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, “কিছু মানুষ যারা আমার কাছে সুবিধা করে উঠতে পারেননি তারাই মালয়েশিয়া গিয়ে সিন্ডিকেট করেছেন।”

বিদেশগামী কর্মীরা মন্ত্রণালয়ে কোন ধরনের হয়রানির শিকার হননা বলে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শামসুন নাহার দাবি করেন।

নিজেদের প্রতিবেদনের স্বপক্ষে টিআইবির বক্তব্য

প্রতিবেদন খারিজ করে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড ইফতেখারুজ্জামান টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমরা আশা করি এই সেক্টর ও দেশের স্বার্থে মন্ত্রণালয় আমাদের প্রতিবেদনটি বিবেচনায় নিবেন।”

টিআইবি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, যোগ করেন তিনি।

লাইসেন্সপ্রাপ্ত এক হাজার ৮১টি রিক্রুটিং এজেন্সি কাজ করছে দেশে

দেশের শ্রমবাজার সম্পর্কে সচিব শামসুন নাহার জানান, বিদেশে কর্মী পাঠানোর জন্য বর্তমানে দেশে এক হাজার ৮১টি রিক্রুটিং এজেন্সি কাজ করছে। প্রয়োজন হলে এই লাইসেন্সের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

Click here to read the English version of this news

Comments