এনবিআরের প্রথম সচিব ফয়সালের ফ্ল্যাট–প্লট-সঞ্চয়পত্র-ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ

কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (ট্যাক্সেস লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের নিকটাত্মীয়দের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

এ বিষয়ক প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা ও দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেন, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ও তার পরিবারের সদস্যরা স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন এবং ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ পাচার করতে পারেন। তাই স্থাবর ও সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা প্রয়োজন।

কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, তার স্ত্রী ও তাদের নিকটাত্মীয়রা যেন সম্পত্তি হস্তান্তর ও অর্থপাচার না করতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আদালতের এই আদেশ একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করতেও দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

জব্দকৃত সম্পত্তিগুলো হলো—ইস্ট-ওয়েস্ট ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) লিমিটেড থেকে স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে ৭৫ লাখ টাকায় কেনা পাঁচ কাঠা প্লট, ঢাকার রমনা এলাকায় রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড থেকে এক কোটি টাকায় শ্বশুর আহমেদ আলীর নামে কেনা একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ে জলসিঁড়ি হাউজিং প্রজেক্ট থেকে তার ও তার স্ত্রীর নামে কেনা পাঁচ কাঠা প্লট, দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার ৯০৮ টাকা ৭২ পয়সা এবং ছয় কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার স্থানান্তরযোগ্য সম্পত্তি।

এসব সম্পত্তির সঙ্গে আফতাফ আলী, কাজী খালিদ হাসান, খোন্দকার হাফিজুর রহমান ও মমতাজ বেগমের সম্পৃক্ততা থাকলেও তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ নিয়ে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল এসব অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। তার স্ত্রী, শ্বশুর ও সম্পৃক্ত অন্য আত্মীয়দের আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই।

 

Comments