তেলের দাম কমবে জানুয়ারিতে: মুহিত
আগামী জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬০ মার্কিন ডলার ধরে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অর্থমন্ত্রী জানান, এই দফায় তেলের দাম খুব বেশি কমবে না।
গত এপ্রিলে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৮০ ডলার হিসাব করে দেশে জ্বালানির দাম পুনর্নিধারণ করা হয়েছিল। তখন প্রতি লিটার অকটেন ও পেট্রোলে ১০ টাকা, ডিজেল ও কেরোসিনে তিন টাকা করে দাম কমানো হয়।
বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৬৫ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রোল ৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুহিত জানান, ডিসেম্বর মাসেই তেলের দাম কমানোর পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু মাস প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় এ মাসে আর দাম কমানো হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, এখনও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁর আলোচনা বাকি রয়েছে। অর্থমন্ত্রীর আশা, জানুয়ারিতে তেলের দাম কমানো সম্ভব হবে।
ব্লুমবার্গের খবর অনুযায়ী গতকাল প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ৫৬ দশমিক ২৭ ডলারে বিক্রি হয়েছে। এই দাম গত জানুয়ারি মাসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। গালফ রিসার্চ সেন্টার বলছে, আগামী বছর গড়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ৬০ ডলারে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত নভেম্বরে মুহিতের সভাপতিত্বে ফিসকাল কোঅর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। গতকাল অর্থমন্ত্রী বলেন, ওই বৈঠক থেকে তেলের দাম কমানোর সুপারিশ এসেছে।
এর আগে গত এপ্রিলে জ্বালানির দাম কমানোর সময় বলা হয়েছিল, মোট তিন দফায় তেলের দাম কমানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার।
এপ্রিলের নির্ধারণ করা মূল্য হিসাবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রতি লিটার অকটেন উৎপাদনে ৬১ দশমিক ২৫ টাকা, পেট্রোলে ৬২ দশমিক ০৫ টাকা, ডিজেলে ৪৯ দশমিক ২৫ টাকা ও কেরোসিনে ৪৮ দশমিক ২৫ টাকা খরচ হয়।
দাম কমানোর পরও দেশের একমাত্র জ্বালানি তেল আমদানিকারক, রিফাইনারি ও সরবরাহকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানটির প্রতি লিটার অকটেনে ২৭ দশমিক ৭৫ টাকা, পেট্রোলে ২৩ দশমিক ৫০ টাকা, ডিজেলে ১৫ দশমিক ৭৫ টাকা ও কেরোসিনে ১৬ দশমিক ৭৫ টাকা মুনাফা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশ্লেষণ অনুযায়ী জ্বালনির দাম কমানো হলে পরিবহন, বিদ্যুৎ ও কৃষি খাত উপকৃত হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে বিনিয়োগ। আর সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের হিসাব বলছে প্রেট্রোলিয়াম পণ্যের ১০ শতাংশ মূল্য হ্রাস, প্রায় দশমিক তিন শতাংশ জিডিপি ও বেসরকারি বিনিয়োগে বৃদ্ধি ঘটাবে।
Comments