বাজেট দরিদ্র ও ব্যবসায়ীদের সমভাবে সাহায্য করবে: অর্থমন্ত্রী

শুক্রবার বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেট দেশের দরিদ্র ও ব্যবসায়ীদের সমভাবে সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, 'আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে বাজেট প্রণয়ন করেছি। বাজেটে তারা লাভবান হবে। বাজেটে ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে। এ বাজেট থেকে সবাই উপকৃত হবে।'

আজ শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

'বিশ্ব এক কঠিন সময় পার করছে এবং বাংলাদেশও এর বাইরে নয়' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রতিটি চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সম্ভাবনাও থাকে। আমরা সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবো।'

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, 'বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এখন কতটা দক্ষতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারি সেদিকে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।'

কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, '৩-৪ মাসের আমদানিতে সহায়তা করতে পারলে বৈদেশিক রিজার্ভকে সাধারণত সন্তোষজনক বলে মনে করা হয়। আমাদের ৪২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ আছে। এতে বেশ কয়েক মাসের আমদানি চালানো যাবে।'

তিনি আরও বলেন, 'জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে আমাদের অর্থনীতিকে প্রস্তুত করা হয়েছে।'

এতে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, 'বাজেটে গবেষণা ও উন্নয়ন, ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং অসংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্য সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে।'

'যখনই আমরা টাকা চেয়েছি, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয় একদিনে ১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থছাড় দিয়েছে। আমি আশা করি অর্থ মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয় তাদের সহযোগিতা অব্যাহতভাবে বাড়াতে থাকবে,' বলেন তিনি।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, 'উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ মাথায় রেখে সারের দাম বাড়ানো হয়নি।'

এ সময় অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, 'আরও ১০০টি উপজেলাকে শতভাগ নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনার কাজ চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Managing expectations the challenge for EC

The EC was a rubber stamp to legalise AL's usurpation of power in last three elections

3h ago