রাস্তার পাশের শতাধিক গাছ কাটার অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় রাস্তার শতাধিক গাছ জোরপূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। গাছগুলো লাগিয়েছিলেন রাস্তার পাশের জমির মালিকরা।

স্থানীয়রা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আদিতমারীর ভাদাই ইউনিয়নের সেনপাড়া হলমোড় থেকে শ্মশানঘাট যাওয়ার কাঁচা রাস্তার ২ পাশের জমির মালিকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনদ গাছ লাগান। রাস্তায় মাটি ফেলার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে ৪০ দিনের কর্মসূচির প্রকল্প দেওয়া হয়। প্রকল্পটির সভাপতি ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য লালন মিয়া।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের নামে ইউপি সদস্য লালন মিয়া গ্রাম পুলিশ নিয়ে এসে রাস্তার ২ পাশের ৬ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের প্রায় ১০৭টি গাছ কেটে নিয়ে যান।

ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

স্থানীয় কৃষক মোহন চন্দ্র সেন (৬০) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাঁচা রাস্তাটি আমাদের জমির ওপর দিয়ে করা হয়। রাস্তার ২ পাশে গাছ লাগিয়েছিলাম। সংস্কারের নামে অবৈধভাবে জোরপূর্বক রাস্তার গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছেন ইউপি সদস্য। আমরা প্রতিবাদ করলে তিনি আমাদের ভয় দেখান।'

স্থানীয় আরতি বালা (৬৬) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাস্তার পাশে আম, কাঁঠাল ও মেহগনি মিলিয়ে ৩০টি গাছ লাগিয়েছিলাম। সেগুলো বড় হয়েছিল। গাছগুলো সরকারের দাবি করে ইউপি সদস্য লালন মিয়া গ্রাম পুলিশ নিয়ে এসে কেটে নিয়ে গেছেন।'

'রাস্তা করতে আমরাই জমি দিয়েছি,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'আমরা কষ্ট করে গাছ লাগালাম আর ইউপি সদস্য জোর করে কেটে নিয়ে গেলেন।'

অভিযুক্ত ভাদাই ইউপি সদস্য লালন মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকারি রাস্তায় গাছের মালিকও সরকার। রাস্তাটি সংস্কার করতে হচ্ছে তাই গাছগুলো কাটা হয়েছে।'

কাঁচা রাস্তায় মাটি ফেলতে গাছ কেন কাটতে হবে?—তিনি বলেন, 'এটা আমাদের ব্যাপার।'

বনবিভাগের অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, 'এর কোন প্রয়োজন হয় না।'

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি, আর সারোয়ার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Yunus calls for peace

Yunus condemns attack at Amar Ekushey Boi Mela, orders swift action

In a statement, the chief adviser denounced the violence, emphasising that it goes against the open-minded spirit of the book fair, which honours the language martyrs of February 21, 1952, according to the CA's press wing

4h ago