সুনামগঞ্জে পুরাতন সুরমার পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপরে
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং ভারতের মেঘালয় ও আসামে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে সিলেট বিভাগে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, আজ সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বেড়েছে কুশিয়ারা, পুরাতন সুরমা, সারিগোয়াইন নদীর পানি। তবে, কেন্দ্রে সকাল ৯টার পানির উচ্চতার রিপোর্টে সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্ট ও জাদুকাটা নদীর লাউড়েরগড় পয়েন্টের তথ্য নেই।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, কুশিয়ারা নদীর পানি সিলেটের জকিগঞ্জের অমলসীদে গতকালের চেয়ে ৭৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলায় গতকালের চেয়ে ৫৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুরমা নদী সিলেটের কানাইঘাটে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সিলেট শহরে ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেসময় সারিগোয়াইন নদী সিলেটের জৈন্তাপুরের সারিঘাটে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়াও হবিগঞ্জে খোয়াই নদী বাল্লা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পুরাতন সুরমা নদী বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল এটি ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে নেত্রকোণার কলমাকান্দায় সোমেশ্বরী নদী বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘণ্টায় সিলেট শহরে ১৪৪ মিলিমিটার, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় ১২৫ মিলিমিটার, বিয়ানীবাজারের শেওলায় ১১০ মিলিমিটার ও শেরপুরে ২১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
একই সময়ে মৌলভীবাজারের লাতুতে ১৫০ মিলিমিটার, দক্ষিণভাগে ২২৬ মিলিমিটার, মনু নদীতে ১৪৫ মিলিমিটার, মৌলভীবাজার সদরে ১৬২ মিলিমিটার ও হবিগঞ্জ সদরে ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যে জানানো হয়েছে।
Comments