বিদ্যুৎহীন সিলেটে মোমবাতির সংকট

দোকানে ক্রেতাদের ভিড। ছবি: দ্বোহা চৌধুরী

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আজ শনিবার দুপুর থেকে সিলেট জেলা সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। পাওয়ার গ্রিড স্টেশনে বন্যার পানির প্রবেশ করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিকল্প আলোর ব্যবস্থাতেও চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নগরীর কোথাও মোমবাতি পাওয়া যাচ্ছে না।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল থেকেই মোমবাতির সংকট দেখা দেয়। আজ থেকে সেই সংকট চরমে পৌঁছেছে। কোনো দোকানে মোমবাতি পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে পাইকারি এলাকার দোকানগুলো পানিতে ডুবে গেছে। তাই স্থানীয় দোকান থেকে কোনো সরবরাহ নেই। ফলে, মোমবাতির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

এ ছাড়াও, অনেক এলাকায় দোকানপাট ডুবে যাওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেরও সংকট তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সংকট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছেন দুর্গতরা। কিছু কিছু দোকান খোলা আছে এবং সেগুলোতে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। সরবারহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় নিত্যপণ্য আসতে পারছে না। এখন একটু বৃষ্টি কমেছে, তাই মানুষ দোকানগুলোতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

নগরীর বালুচর এলাকার সাদি স্টোশনারির স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুর রহিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পাইকারি পণ্যের সাপ্লাই নেই। যা ছিল তা দিয়ে আপাতত দোকান খোলা রেখেছি। কিন্তু, যা আছে শুধু সেগুলোই বিক্রি করতে পারছি। নতুন কিছু আসছে না। আমার এখানে মোমবাতি গতকাল শেষ হয়েছে। এর বাইরে কেরোসিন তেলের সরবরাহ বন্ধ আছে। আমাদের কাছে কেরোসিন তেল নেই।'

তিনি আরও বলেন, 'ডিমও আসছে না। তেলেরও সংকট দেখা যাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পরিমাণ কমে আসছে। আমরা কোনো সরবরাহ পাচ্ছি না। এমনকি পাইকারি পণ্যও পাচ্ছি না। এছাড়া, চিড়ার পরিমাণ কমে আসছে। আমার এখানে শুকনো খাবার যেমন চিড়া-মুড়ি শেষ হয়ে গেছে।'

নগরীর মেজর টিলা এলাকার শওকত চৌধুরী বলেন, 'আজ সকাল আমার এলাকায় পানি বাড়তে শুরু করে। আমি একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এই এলাকা বেশ উঁচু, এ কারণে পানি আসেনি। বিদ্যুৎ না থাকায় বাজারে মোমবাতি কিনতে যাই। কিন্তু, এক প্যাকেট মোমবাতিও কোথাও পাওয়া যায়নি। বাজারে গিয়ে দেখলাম শুধু মোমবাতি না অনেক কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। ছোট ছোট দোকানগুলো বন্ধ ছিল। কিছু বড় দোকান খোলা ছিল। অনেক পণ্যের দাম ক্ষেত্রবিশেষে বেড়েছে। বাড়িতে দামে কিছু জিনিস কিনতে হয়েছে। এই মুহূর্তে বড় সমস্যা হলো বিদ্যুৎ। কীভাবে সেটার ব্যাকআপ দেব বুঝতে পারছি না।'

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

3h ago