ত্রাণের অপেক্ষায় দোয়ারাবাজারের ৪ গ্রামের বন্যার্তরা

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার রায়নগন, শরীফপুর, দক্ষিন বড়বন, উত্তর বড়বন এলাকায় এখনো ত্রাণ পৌঁছেনি। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদী-হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সুনামগঞ্জের যেদিকে দেখা যায়, সেদিকেই পানি আর পানি। এতে গত ৫ দিন ধরে চরম দুর্ভোগে থাকলেও, ত্রাণের আশায় অপেক্ষা করছেন হাওরের প্রত্যন্ত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা।

আজ শুক্রবার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার রায়নগন, শরীফপুর, দক্ষিন বড়বন, উত্তর বড়বন এলাকায় বন্যার্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এখনো কোনো ত্রাণ পাননি।

দোয়ারাবাজার উপজেলার বড়বন এলাকার বাসিন্দা সুমেনা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ৬ দিন ধরে আমরা পানিবন্দি হয়ে আছি, ত্রাণের অপেক্ষা করছি। কেউ নৌকা নিয়ে এলেই ত্রাণের আশায় ছুটে যাই। কিন্তু, আজ পর্যন্ত সরকারি ত্রাণের দেখা পাইনি।'

শরীফপুর এলাকার জায়েদ আহমেদ বলেন, '৩ দিন ধরে সুরমার পানি সবার বাড়িতেই প্রবেশ করেছে। কিন্তু এখনো কোনো ত্রাণ পাইনি। ত্রাণের অপেক্ষায় আছি।'

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের কয়েকজন ডেইলি স্টারকে জানান, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে মাঝে মাঝে শুকনো খাবার দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

কিছু এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা /স্টার

জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস শহীদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা পর্যাপ্ত ত্রাণ পাইনি। যতটা পেয়েছি, বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করেছি। এখনো অনেক এলাকায় ত্রাণের প্রয়োজন থাকলেও দিতে পারিনি।'

যোগাযোগ করা হলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলায় ৩০ মেট্রিক টন চাল, সাড়ে ৬ লাখ টাকা ও ২ হাজার বস্তা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি।'

বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে আরও ত্রাণের চাহিদা আছে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ত্রাণ দেওয়া অব্যাহত রেখেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt relieves Kuet VC, Pro-VC of duties to resolve crisis

A search committee will soon be formed to appoint new candidates to the two posts

1h ago