তলিয়ে গেছে কাকাইলছেও আশ্রয়ণের ৫১ ঘর
বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের কালনী-কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এরই মধ্যে আজমিরীগঞ্জের পিরোজপুর অংশে কালনী-কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ডুবে পানি পার্শ্ববর্তী হাওরে ঢুকছে।
এ ছাড়া, আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও আশ্রয়ণ প্রকল্প পানিতে তলিয়ে গেছে, নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। আশ্রয়ণের ঘরগুলো কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে, বিপাকে পড়েছে এই আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ৫১টি পরিবার।
কাকাইলছেও আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রেশমা আক্তার বলেন, 'আমরা গৃহহীন ছিলাম, প্রধানমন্ত্রী ঘর দিয়েছেন। কিন্তু ঘরগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আমরা আবারও গৃহহীন হয়ে গেলাম।'
কুশিয়ারার পানি ঢুকেছে নবীগঞ্জের কয়েকটি গ্রামেও। আজমিরীগঞ্জের পিরোজপুর অংশে কুশিয়ারার পানি বেড়ে বাঁধ ডুবে যাওয়ায় ওই এলাকার কয়েকটি গ্রাম ঝুঁকিতে রয়েছে। বৃষ্টি ও পানি বাড়তে থাকলে আরও কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম বলেন, 'পানি বৃদ্ধি ও বানভাসীদের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রায় অর্ধেকই পানির নিচে। কাকাইলছেও আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুরো উপজেলার প্লাবিত মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। সরকার থেকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।'
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মহিউদ্দিন বলেন, 'পানি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কুশিয়ারা পানির বাঁধ ডুবে যাওয়ার উপক্রম। আমরা জিও ব্যাগ ফেলে পানি আটকানোর চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে পাহাড়পুর ও উমরপুর গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। গ্রাম ২টির বাসিন্দাদের রাতেই আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।'
হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ্ নেওয়াজ তালুকদার বলেন, 'কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। পানি আরও ২-৩ দিন বাড়বে। আজমিরীগঞ্জ অংশে কুশিয়ারার বাঁধ ডুবে পানি প্রবেশ করছে। এ ছাড়া, নবীগঞ্জ অংশে পানি বিপৎসীমার প্রায় কাছাকাছি।'
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, 'জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে সব উপজেলা প্রশাসনকে বন্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা মাঠে তৎপর রয়েছি। কেউ জলাবদ্ধতায় আটকা পড়লে ৩৩৩ নম্বরে কল করলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।'
Comments