চট্টগ্রামকে লড়াইয়ে ফেরাতে চান ‘সিলেটী ক্রিকেটাররা’
বিপিএলে আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট সানরাইজার্সের হোম গ্রাউন্ড সিলেট। তবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দাবি করতে পারে হোম গ্রাউন্ড আসলে তাদেরই। নামে সিলেট থাকলেও সানরাইজার্স স্কোয়াডে যে সিলেটের ক্রিকেটার আছেন কেবল একজন। অন্যদিকে সিলেটের সর্বোচ্চ চার ক্রিকেটার স্কোয়াডে আছে চট্টগ্রামের দলটির। চেনা কন্ডিশনে দলকে লড়াইয়ে ফেরাতে ভূমিকা রাখতে চান সিলেটের এই ক্রিকেটাররা।
ঢাকা, চট্টগ্রাম পেরিয়ে বিপিএল এসেছে সিলেটে। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন দিনে হবে ছয় ম্যাচ। ৮ তারিখ এই মাঠে মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াইয়ে নামবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। টুর্নামেন্টের শুরুতে ভালো খেললেও মাঝে পথ হারায় তারা, জড়ায় বিতর্কে, হারে টানা তিন ম্যাচ। পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ থেকে চারে ঢুকতে এখন বাকি দুই ম্যাচ থেকে জয়ের কোন বিকল্প নেই দলটির।
চট্টগ্রামের স্কোয়াডে থাকা পেসার রেজাউর রহমান রাজা, বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ, কিপার ব্যাটসম্যান জাকির হাসান, ও অভিজ্ঞ স্পিনার এনামুল হক জুনিয়রের বাড়ি সিলেট। সিলেটের মাঠের নাড়িনক্ষত্র জানা এই ক্রিকেটারদের।
আসরে নিজেদের নবম ম্যাচ খেলতে সবার আগে সিলেটে এসে শনিবার অনুশীলন করেছে চট্টগ্রাম। দলের অনুশীলন শেষে চট্টগ্রামের হয়ে খেলা সিলেটের পেসার রাজা জানান, নিজেদের চেনা কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে চান তারা, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় দলকে এনে দিতে চান জয়, 'অবশ্যই হোম গ্রাউন্ডে খেলা, সবারই একটা সুবিধা থাকে। মাঠ সম্পর্কে একটা ধারণা আছে। সুযোগ পেলে ভালো করার চেষ্টা করব। আবহাওয়া একটু ঠাণ্ডা, তারপরও অনুশীলনে আমরা উপভোগ করেছি।'
'যেহেতু আমাদের হোম গ্রাউন্ড, মাঠ সম্পর্কে, উইকেট সম্পর্কে একটা ধারণা আছে। সুবিধা নেওয়ারই চেষ্টা করব। আমাদের দুটো ম্যাচ আছে। আমার মনে হয় ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুতে পারলে ভাল হবে। পরের ম্যাচ যাতে জিততে পারি সেই চেষ্টাই করছি।'
চট্টগ্রামের স্কোয়াডে নিয়মিতই সুযোগ পাচ্ছেন রাজা। ড্রাফটের আগে নাসুমকে সরাসরি দলে নেয় তারা। নাসুমই এখনো পর্যন্ত চট্টগ্রামের দলটির সেরা বোলার। জাকির ও এনামুল জুনিয়র দুজনেই দলে যুক্ত হয়েছেন পরে, খেলারও সুযোগ পাননি এখনো। ঢাকার বিপক্ষেও নাসুমের সঙ্গে রাজার খেলার সম্ভাবনা প্রবল। ঘরের মাঠে সুযোগ আসতে পারে জাকিরেরও।
রাজা জানালেন চট্টগ্রামের হয়ে খেললেও নিজেদের ঘরের মাঠে মরিয়া হয়ে খেলতে প্রস্তুত তিনি, 'আমার বাড়িটাও পাশে। মনে হচ্ছে যে ঘরেই খেলছি। ফিলিংসটাই আলাদা। যে মাঠেই খেলার সুযোগ পাই চেষ্টা করি ভাল করার জন্য। তারপরও যেহেতু নিজের হোম গ্রাউন্ডে খেলা এটা একটা বাড়তি সুবিধা আমাদের জন্য। এই সুবিধা কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছি।'
সিলেট পর্বে সবগুলো দলের মাথাতেই থাকবে উইকেট নিয়ে চিন্তা। গত বেশ কয়েকটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে এখানকার উইকেট ছিল বেশ মন্থর। এক সময় যে মাঠে দেখা যেত বড় রান, সেখানে সংগ্রাম করতে হয় ব্যাটসম্যানদের। রাজার আশা বিপিএলে উইকেট দেখা যাবে সম্পূর্ণ আলাদা, 'গত যে কটা টুর্নামেন্ট হয়েছে, ওইরকম ভাল পাইনি (উইকেট)। আশা করি বিপিএলে ভাল হবে।'
Comments