রাজনীতির হাজী সেলিম মডেল

রাজনীতিবিদদের কাছে, রাজনীতির মাঠে হাজী সেলিম মডেল কি আবশ্যক ও জরুরি বস্তুবিশেষ? এরকম মডেল একটা-দুইটা কিংবা কিছু সংখ্যক না থাকলে কি দল ও গোষ্ঠীতন্ত্রের কাছে রাজনীতি করা দুরুহ হয়ে ওঠে? রাজনীতিতে প্রভাব বলয় বিস্তার করা, দাপট দেখানো, প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে এগিয়ে থাকার জন্য হাজী সেলিম মডেল কি সবিশেষ অপরিহারয কিছু? পেশীশক্তির কেরদানি দেখিয়ে, অর্থ উড়িয়ে, ভীতি ছড়িয়ে, প্রশাসনকে জিম্মি করে ভোটের মাঠে বিজয়ী হওয়ার জন্য, রাজনীতির হাজী সেলিম মডেল কি অতুলনীয়-অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক উদাহরণ?

এসব প্রশ্নের উত্তর যদি 'না' হয় তাহলে আমাদের রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিকদের কাছে হাজী সেলিমরা কেন আদৃত। কেন তারা রাজনীতিতে কলুষতা ছড়ানোর সুযোগ পায়? তাদের কাছে কোন্ সেই জাদুর কাঠি আছে যার পরশে তারা সকল অন্যায়-অপকর্ম করার পরও রাজনীতিতে আদৃত হন? এর জন্য কে বা কারা দায়ী? এসব প্রশ্নের উত্তর তালাশ করা প্রয়োজন। নীতির রাজা-রাজনীতির মর্যাদা রক্ষার স্বার্থেই জানা উচিত হাজী সেলিম মডেল কতটা ভয়ঙ্কর।

তারও আগে পরিষ্কার করে বলা ভালো, কেন এই লেখা এবং হাজী সেলিম মডেল কেন আলোচনায়। এর পেছনের শানে নযুল হলো, হাজী সেলিম আদালত কর্তৃক দুর্নীতির দায়ে ১০ বছরের জন্য দণ্ডিত হয়েছেন। এ মুহূর্তে তিনি রয়েছেন কারান্তরালে। হাজী সেলিমের এই দণ্ডকে অনেকেই তুলনা করছেন 'চোরের দশ দিন, গৃহস্থের এক দিন'রূপে। চোর-গৃহস্থের এই বাগধারা যদি রাজনীতিবিদদের প্রতিও প্রয়োগ করা হয়, তাহলে রাজনীতিকদের জন্য সেটা কতটা বেদনা-অবমাননা ও অনুশোচনার-তা কি একবার ভেবে দেখার ফুরসৎ মিলবে আমাদের রাজনীতিকদের?

রাজনীতির হাজী সেলিম মডেল কেমন, সেটা এখন একটু দেখে নেওয়া দরকার। এই মডেলের কয়েকটি বিশেষ গুণ লক্ষ্য করলেই তার পুরো অবয়বটি ধরা পড়বে-পরিষ্কার করে বোঝাও যাবে। এগুলো হলো-

এক. এই মডেলের রাজনীতিকদের চরিত্র হলো পানির মতো। যখন যে পাত্রে রাখা হয় তারা সেই পাত্রের রং ধারণ করেন। এদের কোনো রাজনৈতিক আদর্শ নেই।

দুই. এরা দখলরোগে আক্রান্ত। দখল ছাড়া এদের কিছুই ভালো লাগে না। দখলের জন্য যা যা করতে হয়, তার কোনোটা করতেই তারা পিছপা নয়।

তিন. এই মডেলের মানুষেরা ক্ষমতায় থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ক্ষমতা তাদের কাছে অক্সিজেন বিশেষ। ক্ষমতার বাইরে থাকা তাদের একেবারেই পছন্দের নয়।

চার. এদের সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে, সম্ভবত রাসপুটিনের সম্মোহনী ক্ষমতার পুরোটাই এদের করায়ত্ত্ব।

পাঁচ. সাইনবোর্ড ব্যবহার করতে এদের কোনো তুলনা নেই। যখন যে সাইনবোর্ড প্রয়োজন বা স্বার্থসিদ্ধিতে দরকার সেটাকেই তারা সামনে আনে। এরা রাজনীতিবিদ সেজে সংসদ সদস্য পর্যন্ত হন, ব্যবসা করে শীর্ষ ব্যবসায়ী বনে যান, জনসেবা করে মহৎ জনসেবী হন, সমাজদরদি সাজেন। কিন্তু এগুলোর সবটাই তাদের ভড়ং-লোকদেখানো-ফন্দিফিকির, সত্যিকারের পরিচয় নয়। এগুলোর ভেতর দিয়ে প্রকৃতরূপে এই মডেলের রাজনীতিবিদদের চেনাও যায় না। তাদের সত্যিকারের পরিচয় হলো তারা দখলবাজ- অর্থগৃধ্নু, রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদ লুটেরা। তাদের চেনা-জানা নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের দখলিপণা ও লুটের বহর দেখে।

এখন আমরা যদি সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের জীবন ও কর্মের দিকে তাকাই, একটু কষ্ট করে তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীকে দেখার চেষ্টা করি, তাহলে দেখব উপরের সবকটি গুণাবলী বিশেষ করে প্রধাণ পাঁচটি গুণ অদ্ভুতভাবে হাজী সেলিমের সঙ্গে মিলে যায়।

হাজী সেলিম এক সময় বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির এই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের খায়েশ হয়েছিল সংসদ সদস্য হওয়ার, চেয়েছিলেন মনোনয়ন। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি পড়ার লক্ষণ দেখামাত্রই লাফ দিলেন আওয়ামী লীগে, পেয়ে গেলেন মনোনয়ন, হয়ে গেলেন ১৯৯৬ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদ সদস্য। বোঝাই যাচ্ছে কোনো প্রকার আদর্শ নয়, সংসদ সদস্য হওয়ায় ছিল তার লক্ষ্য।

এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি হাজী সেলিমকে। ২০০১ এর নির্বাচনে যদিও হেরে যান। কিন্তু ততদিনে তো পেয়ে গেছেন সাবেক সংসদ সদস্যের তকমা, বহর বাড়িয়েছেন রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শনের, বিস্তার ঘটিয়েছেন পেশীশক্তি আর দখলদারিত্বের ষোলকলার। ফলে, হাজী সেলিমের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা বাস্তবায়নে ঘোড়া দাবড়ানো চলতে থাকে বিপুল বেগে।

হাজী সেলিম ২০০৮ এর নির্বাচনে মামলাজনিত জটিলতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। কিন্তু ২০১৪তে আবার ঠিকই ঘুরে দাঁড়ান। দল তাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হন এবং বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হন। লক্ষ্যণীয়, এসময় তিনি একদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ যেমন ধারণ করেছিলেন, অন্যদিকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আইনত এটা করা যায় কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেনি তখন। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে শাসক দল আওয়ামী লীগ বাগাড়ম্বর করলেও তার ব্যাপারে ছিলেন আশ্চর্যজনকভাবে নিশ্চুপ। অথচ আমরা দেখেছি, দলের মনোনয়ন ছাড়া নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু হাজী সেলিমরা এমনই ভাগ্যবান যে তাদের ক্ষেত্রে টু শব্দ পর্যন্ত করা হয়নি। ২০১৮-র জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গত সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাদেরকে বিদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি শুধু ওই কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত করা হলেও হাজী সেলিম থেকে যান এই নিয়মের বাইরে। তাকে ঠিকই আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দেয় এবং নৌকা প্রতীকে জাতীয় সংসদ সদস্য হন।

হাজী সেলিমের এই জীবন বৃত্তান্ত আমরা সকলেই জানি। তার দখলদারিত্ব নিয়েও একেবারে কম জানা—ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়। উপরন্তু এটাও জানা যে, এই সব দখলি জায়গা ফেরত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই। ব্যাপারটা এমন যে, হাজী সেলিমের জন্য এই দখল বুঝি জায়েজ। তার বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'তিব্বত হল' দখলের অভিযোগ আছে—এটা কে না জানে? বিভিন্ন সময় এসব নিয়েও কথা হয়েছে, জগন্নাথের ছাত্ররা এটা নিয়ে সোচ্চারও হয়েছেন। কিন্তু হাজী সেলিমের দখল থেকে এ পর্যন্ত কোনোকিছু উদ্ধার হতে দেখা যায়নি।

হাজী সেলিমের কয়েকটি দখলের ঘটনায় নজর দিলেই তার দখল মানসিকতা সম্পর্কে টের পাওয়া যাবে।

এক. রাজধানীর লালবাগের কামালবাগে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের জন্য এক একর জমি বরাদ্দ দেয় সরকার। এই জমি দখল করে বানানো হয়েছে হাজী সেলিম ফিলিং স্টেশন।

দুই. পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের অগ্রণী ব্যাংকের জমি দখল করেছিলেন হাজী সেলিম। ছেলে ইরফান আটক হওয়ার পর সেই জমি বুঝে নিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

তিন. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বত হল দখল করেছেন হাজী সেলিম।

চার. রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরের ঝাউচরে বিআইডব্লিউটিএ-র এক একর জমি তার দখলে আছে।

পাঁচ. পুরান ঢাকার ছোট কাটরা হাজী সেলিমের বাবার নামে করা চাঁন সরদার কোল্ড স্টোরেজের জায়গটাও দখলি সম্পত্তি বলে অভিযোগ রয়েছে।

ছয়. রাজধানীর চকবাজার এলাকার নলগোলা সর্দার হার্ডওয়্যার মার্কেটের মালিক হাজী সেলিম বলা হলেও এটা ভাওয়াল এস্টেটের সম্পত্তি এবং এটা নিয়ে মামলা চলছে।

সাত. চকবাজারের বশির মার্কেট ভেঙে নিজের নামে দখল নিয়েছেন হাজী সেলিম।

আট. চকবাজারের আশিক টাওয়ারও হাজী সেলিমের দখলি সম্পত্তি বলে অভিযোগ রয়েছে।

নয়. চকবাজারের জাহাজ বাড়ি ভেঙে দখল নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে।

দশ. রাজধানীর গ্রীন রোডের মদিনা গ্রুপের অফিসটা পর্যন্ত সরকারের এক বিঘা জমি দখল নিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে হাজেী সেলিমের বিরুদ্ধে।

এগার. লালবাগের বেড়িবাঁধ এলাকার পানি ‍উন্নয়ন বোর্ডের একর জমি দখল করে রড-সিমেন্টের মার্কেট করেছেন হাজী সেলিম।

বার. রাজধানীর কালুনগরে ১০ শতাংশ জমি দখল করে ছয়তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে হাজী সেলিমের নামে।

তের. ঢাকার বাইরেও দখলের থাবা বিস্তার করেছিলেন হাজী সেলিম। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় তার দখলে থাকা সরকারের ১৪ বিঘা খাসজমি সম্প্রতি উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

হাজী সেলিমের দখল সম্পর্কে এই ফিরিস্তিগুলো কমবেশি সকলেরই জানা। এর বাইরে তিনি আর কী কী দখল করেছেন তা গভীর অনুসন্ধানের বিষয়। তার দখল নিয়ে কেউই মুখ খুলতে কিংবা অভিযোগ জানাতে ইচ্ছুক নয়, এমনকি ক্ষমতার পালাবদল হলেও। কেননা, পরে তার লোকজন এসব নিয়ে চরম প্রতিশোধ নেয় বলে ভুক্তভোগীরা গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন।

যে প্রশ্ন জারি রেখে এই লেখা শুরু করেছিলাম, রাজনীতির হাজী সেলিম মডেল কেন এতকিছুর পরও রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আদৃত হয়, আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়। রাজনীতিকদের নিজেদের স্বার্থেই এই প্রশ্নের সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। একাধিকবারের সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক চেহারা-তার কর্মগুণে যদি এভাবে ধরা পড়ে তাহলে তার চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে? রাজনীতিবিদদের জন্য এটা যেমন কলঙ্কের, দেশবাসীর জন্য তেমনি চরম দুর্ভাগ্যের। এই যদি হয় জনগণের প্রতিনিধির রাজনৈতিক মুখ, তাহলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এ ব্যাপরে নতুন পাঠ সংযোজন জরুরি। হাজী সেলিম মডেল যদি ধীরে ধীরে রাজনীতির মূলধারার মডেল হয়ে উঠে তাহলে সেই পাপে কেবল রাজনীতিবদরা তলিয়ে যাবে না, দেশ ও জাতির ভাগ্যে নেমে আসবে অমাবশ্যার অন্ধকার। এ কারণে রাজনীতিবিদদের এই সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে, রাজনীতির মডেল হিসেবে তারা কাকে বা কাদেরকে সামনে আনতে চান। কাদেরকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে তারা স্বস্তি-শান্তি পাওয়ার পাশাপাশি গৌরববোধও করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার সূর্য উঠেছিল, সেই জাতির রাজনৈতিক মডেল যদি হাজী সেলিম হয়ে ওঠে তাহলে বুঝতে হবে আমাদের মনোযোগ দেশ ও জাতি গঠনে নেই, আমরাও হাজী সেলিমের মতোই কোনো না কোনো দখলে-দুর্নীতিতে-পাচারে-লুটে ব্যস্ত আছি। কেউ উনিশে-কেউবা বিশে বড়োজোর ফারাক এতটুকুই।

লক্ষ্যণীয়, হাজী সেলিমের দখলের একটা বিশেষ জায়গা হলো সরকারি সম্পত্তি। একজন মানুষ দিনের পর দিন এবং একের পর এক রাষ্ট্রের সম্পত্তি দখল করে নেয় আর রাষ্ট্র চুপ থাকে—এটাও একটা রহস্য। প্রশাসনযন্ত্র কি এতটাই অসহায় যে হাজী সেলিমের দখলের কাছে তাদের ফ্যালফ্যাল করে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই?

আদালতে দণ্ডিত হওয়ার পরও বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া এবং ফিরে এসে আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল হয়েছে। ঠিত তখনই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটা অভাবনীয় রায় ঘোষিত হয়েছে। একজন মন্ত্রী কন্যা অবৈধভাবে শিক্ষকের চাকরি নিয়েছিলেন। আদালতে সেটা প্রমাণিত হওয়ায় মন্ত্রী কন্যার ‍শুধু চাকরি খোয়া যায়নি। এ যাবৎ যত বেতন উঠিয়েছেন তার পুরোটা সুদসমেত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তিনি কোথাও শিক্ষক পরিচয় দিতে পারবেন না এই মর্মে আদেশ জারি করা হয়েছে। কি সাংঘাতিক রায়। সত্যিইতো একজন দুর্নীতিবাজ যদি সাবেক শিক্ষক পরিচয় দেয়, তাহলে তো সেটা পুরো শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জা ও কলঙ্কের। একজন অপরাধীকে কেন সেই সুযোগ দেওয়া হবে? রাষ্ট্র যদি সেই সুযোগ দেয় সেটাও কি রাষ্ট্রের অন্যায় নয়, অবশ্যই অন্যায়-তাইতো আদালতের অমন রায়-আদেশ ও নির্দেশ।

রাজনীতির হাজী সেলিম মডেল নিয়ে লেখার একেবারে শেষে এসে এই রায়ের কথা মনে পড়ল, বিশেষ করে ওই নির্দেশের অংশটুকুন, 'জীবনে কখনো তিনি শিক্ষক পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন না।'

কাজল রশীদ শাহীন: সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও গবেষক

[email protected]

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

Talks with IMF: Consensus likely on exchange rate, revenue issues

The fourth tranche of the instalment was deferred due to disagreements and now talks are going on to release two tranches at once.

11h ago