বিদ্রোহীদের যেকোনো মূল্যে দমন করা হবে: মিয়ানমার সেনাপ্রধান

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। ছবি: রয়টার্স
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং সশস্ত্র বিদ্রোহী দলগুলোর 'জঙ্গি কার্যক্রম' দমনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার অঙ্গীকার জানিয়েছেন।

আজ সোমবার যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

যেসব দেশ সামরিক সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে, সেসব দেশকে মিন জঙ্গিবাদের সমর্থক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

২০২১ সালে ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিভিন্ন বিদ্রোহী দলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়ে আছে।

এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হাজারো মানুষ মারা গেছেন এবং ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

জেনারেল মিন অং হ্লাইং জনসম্মুখে খুব একটা না এলেও রাজধানী নেপিদোতে সশস্ত্র বাহিনীর বার্ষিক প্যারেডে তিনি এই বক্তব্য দেন। বক্তব্যের মূল বার্তা হচ্ছে, যেকোনো মূল্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিদ্রোহী সংগঠনগুলোকে দমন করবে।

মিন আরও উল্লেখ করেন, 'যেসব জঙ্গি সদস্য দেশের মানুষের স্বার্থহানী করতে পারে', তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য 'গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোকে' ক্রমশ সামরিক আইনের আওতায় আনা হবে। পরিশেষে নির্বাচন আয়োজন করা হবে এবং 'বিজয়ী দলের' হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। তবে চলমান সংঘাতের কারণে এটা নিশ্চিত নয় যে এই নির্বাচন কখন আয়োজিত হতে পারে।

এই মহড়ার মাধ্যমে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৭৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের আগ্রাসন প্রতিহত করতে এ বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়।

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দেশের জনগণের বিরুদ্ধে বাড়তি সামরিক শক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ক্রমশ মিয়ানমারকে একঘরে করে ফেলছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, দেশটি বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে তাদের সামরিক সক্ষমতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

অন্যান্য দেশের সমর্থন হারালেও দেশটির প্রতি চীন ও রাশিয়ার সমর্থন অব্যাহত রয়েছে এবং মহড়ায় এ ২ দেশের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

মহড়ায় রাশিয়া থেকে কেনা এম-৩৪৫ গানশিপ এবং চীনের কাছ থেকে কেনা কে-৮ বোমারু বিমান ও এফটিসি-২০০০ যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। এসব অস্ত্র বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে অনেক বেসামরিক ব্যক্তি ও শিশুও মারা গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিশ্বাস করে, বিদ্রোহীদের ওপর চাপ অব্যাহত রাখলে তারা একসময় ক্লান্ত ও পরাজিত হবে এবং পরিশেষে তাদের ক্ষমতা স্থায়িত্ব পাবে।

সামরিক জান্তা প্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যেও এ চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটেছে বলেই ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

6m ago