‘প্রত্যাবাসনে সম্পৃক্ত নেই ইউএনএইচসিআর, রাখাইনের পরিবেশ ফেরার উপযোগী নয়’

রোহিঙ্গা শরণার্থী। প্রতিকী ছবি: ইউএনবি
রোহিঙ্গা শরণার্থী। প্রতিকী ছবি: ইউএনবি

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবাসনের 'উপযোগী নয়'।

জাতিসংঘের সংস্থাটি তার মূল্যায়ন তুলে ধরে বলেছে, 'মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।'

জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে যে সম্ভাব্য প্রত্যাবাসন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় পাইলট প্রকল্পে  রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি গ্রুপের সঙ্গে দেখা করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে সফর সম্পর্কে অবগত রয়েছে তারা।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ, মিয়ানমারের পাইলট প্রকল্পের বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ইউএনএইচসিআর এসব আলোচনায় জড়িত নয়।

রোববার রাতে ইউএনএইচসিআর আঞ্চলিক ব্যুরো ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক এই বিবৃতি দিয়েছে।

একই সময়ে, ইউএনএইচসিআর পুনর্ব্যক্ত করেছে যে প্রতিটি শরণার্থীর একটি অবগত পছন্দের ভিত্তিতে তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে, তবে কোনও শরণার্থীকে তা করতে বাধ্য করা উচিত নয়।

এতে বলা হয়েছে, সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে স্বেচ্ছায় এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রতি তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

প্রত্যাবাসনের অধিকার সংরক্ষণ প্রচেষ্টার সমর্থনে ইউএনএইচসিআর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির বিষয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে আলোচনা ও সংলাপকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। যাতে শরণার্থীরা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়।

ইউএনএইচসিআর আরও বলেছে, 'এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনেক শরণার্থী আবারও জানিয়েছে যে তারা শর্ত সাপেক্ষে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আশা করছে।'

জাতিসংঘের সংস্থাটি জানায়, ২০১৭ সালের আগস্টের ঘটনার পর ইউএনএইচসিআর শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য যে কোনও প্রশাসনিক বাধা অপসারণের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ধারাবাহিকভাবে মিয়ানমারকে বাংলাদেশে শরণার্থীদের পূর্ববর্তী বাসস্থান যাচাই করার জন্য উৎসাহিত করেছে। এসব উদ্যোগের মাঝে রয়েছে যাচাই প্রক্রিয়ায় কারিগরি সহায়তা দিতে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে প্রবেশে লজিস্টিক সহায়তা দেওয়া।

ইউএনএইচসিআর বলেছে যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজেদের ইচ্ছায় ও সব রকম তথ্য জানার পর নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রত্যাবাসনের অধিকার বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

এছাড়াও, ইউএনএইচসিআর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে।

বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবাসন ও নিজেদের সামাজিক অবস্থান ফিরে পাওয়ার সুবিধার্থে তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা সংক্রান্ত মানবিক সংকটের মোকাবিলায় বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা ২০২৩ চালু করা হয়েছে।  ইউএনএইচসিআর এ উদ্যোগের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। বর্তমানে এ উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের মাত্র ১০ শতাংশ জোগাড় হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Confronting Dhaka’s battery-run rickshaw dilemma

One of the more recent manifestations of informal urban expansion is the proliferation of battery-run rickshaws.

6h ago