কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, পরীক্ষা স্থগিত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের হয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৈঠকের মাধ্যমে আগামী রোববার ও সোমবারের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ইতোমধ্যে চিঠি ইস্যু করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। রোববার ও সোমবারের সেমিস্টার পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো পরবর্তীতে রিশিডিউল করে নেওয়া হবে। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।'

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। দুই হলেরই নেতা-কর্মীরা বাঁশ, গাছের ডাল, রড ও ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে সংঘর্ষ বন্ধ থাকলেও ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এর আগে, শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে হাতাহাতিতে জড়ায় কাজী নজরুল ইসলাম হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নেতা-কর্মীরা। ওই ঘটনার রেশ ধরে একই দিন সন্ধ্যায় কাজী নজরুল ইসলাম হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। এরপর শুক্রবার রাত ১২টায় ২ হল আবারও সংঘর্ষে জড়ায়।

তবে, সংঘর্ষ চলাকালে রাত থেকে ক্যাম্পাসে ছিলেন না কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যক্তিগত কারণে (ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের জানাজায়) গিয়েছিলাম। তাই ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকতে পারিনি। যে সংঘর্ষ হয়েছে এর পেছনে গুজব, বাইরের ইন্ধন ও পূর্ব শত্রুতা আছে বলে আমি মনে করি।'

সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, 'আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত সবকিছু শান্ত আছে।'

তবে, এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহারাতবির হোসেন পাপন বলেন, 'হলকেন্দ্রীক উত্তেজনা থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।'

তবে, এ বিষয়ে জানতে কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago