প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করলে কোচিং লাগত না: শিক্ষা উপদেষ্টা

অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করলে শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে যাওয়া লাগত না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।

আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 'শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা' শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

সি আর আবরার বলেন, নোটবই ও কোচিং-নির্ভর শিক্ষার প্রচলনের কারণ হয়তো আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করত, তাহলে নিশ্চয়ই ছাত্রদের খেলার সময় কোচিং সেন্টারে যাওয়া লাগত না। অভিভাবকদেরও আয়ের বড় অংশ সেখানে দিতে হতো না।

'কোথায় আমরা ভুল করছি তা অনুসন্ধানের সময় এসেছে। ভুলগুলো শনাক্ত করে আমরা যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করব' যোগ করেন তিনি।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতার কথা তুলে ধরে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমরা ধরে নিয়েছিলাম, প্রজা হিসেবে আমাদের মৃত্যু হবে। তরুণরা আমাদের নাগরিক অধিকার আবার প্রতিষ্ঠা করেছে। সে কারণে আমরা দায়বদ্ধ। সে দায়বদ্ধতা থেকেই এ আয়োজন। সমাজের বৈষম্য নিরসনে শিক্ষা সবচেয়ে সক্রিয় বাহন।

ড. আবরার বলেন, শিক্ষা ব্যক্তির কর্মদক্ষতা, অর্জন তথা আত্ম-উন্নয়নের উপযুক্ত পথ। শিক্ষা হবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বিজ্ঞানভিত্তিক উৎকর্ষতার সহায়ক এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মূল্যবোধ-সম্পন্ন নাগরিক করার উপায়। এজন্য সবাইকে নিয়ে আমরা এমন কিছু নীতি প্রণয়ন করব, যাতে কিছু অর্জন করা যায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার মানোন্নয়নে অধিক নজর দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বিগত সময়ের শিক্ষা-ব্যবস্থার সমালোচনা করেন শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমরা জিপিএ-৫ এর সয়লাব করে দিলাম, কিন্তু ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করল, তাহলে তো লাভ হলো না। সস্তা পপুলারিটি নেওয়ার জন্য আমরা এমন কোনো কাজ করব না। তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আমরা অনেক বাড়াবাড়ি করেছি, তাদের গিনিপিগ বানিয়েছি। সময় এসেছে, দায়িত্ববোধের সঙ্গে তাদের পড়াশোনার মূল্যায়ন করার। এজন্য টেকসই পরিকল্পনা এবং তাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সঞ্চালনায় এ সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনূর রশিদ। আরও উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।

Comments

The Daily Star  | English

Tk 2,956 crore earmarked for Election Commission

Of this amount, Tk 2,727 crore has been allocated as revenue budget, while Tk 229 crore was allocated as development budget

1h ago