ইংরেজিতে কথা বলতে গিয়ে জড়তা এবং ফিলারের ব্যবহার
ইংরেজিতে কথা বলতে গিয়ে অনেকেই যে সমস্যার মুখোমুখি হয়, তা হলো জড়তা বা কথা বলতে গিয়ে বারংবার আটকে যাওয়া। আর এই আটকে যাওয়া থেকে সৃষ্টি হয় কথার মাঝে এ্যাঁ…জাতীয় শব্দের ব্যবহার।
যারা আবার অনর্গল কথা বলতে সক্ষম তারাও দুই বাক্যের মাঝে বিভিন্ন শব্দ, শব্দগুচ্ছের ব্যবহার করে থাকেন। তাদের সেই ব্যবহার পরবর্তী বলা ঠিক করার জন্য। দুই বাক্যের ফাঁকা পূরণের জন্য যে সব শব্দ, শব্দগুচ্ছ বা আওয়াজ ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে ইংরেজিতে বলা হয় ফিলার।
ফিলারের ব্যবহার কথা বলার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ, এবং এই ব্যবহার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবচেতনভাবেই ঘটে। কথা হচ্ছে, ফিলারের ব্যবহার যদি স্বাভাবিক হয় তবে তার নিয়ন্ত্রণে প্রশ্ন ওঠে কি না?
ফিলারের ব্যবহার শুধু ইংরেজি না, সব ভাষাতেই সার্বজনীনভাবে দেখা যায়। তারপরও এর নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন পড়ে, কারণ কথা বলার মাঝে ফিলারের সংখ্যা বেশি থাকলে বক্তব্যকে ম্লান করে দিতে পারে। ইংরেজিতে বহুল ব্যবহার ফিলারগুলো হচ্ছে-
● Um
● Uh
● Like
● You know
● Sort of
● Kind of
● I mean
● Basically
● I guess
● I suppose
আওয়াজ জাতীয় ফিলার যেমন Um, Ur বাদে তালিকায় থাকা বাকি সবগুলো ফিলার যেমন know, Sort of, Kind of, Basically, I guess, l suppose ইত্যাদির কিন্তু নিজস্ব অর্থ আছে, তবে দুই বাক্যের বা চিন্তার ফাঁকা অংশ পূরণে যখন এই শব্দ বা শব্দগুচ্ছ ব্যবহৃত হয়, তখন এরা কোনো অর্থবোধক ধারণা দেয় না। যে কারণেই বলা যে, ফিলারের আধিক্যের কারণে বক্তব্য তার গুরুত্ব হারাতে পারে।
অনেক সময় নির্দিষ্ট ফিলারের অধিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যায় বক্তার দ্রুত কথা বলার প্রবণতা বা চিন্তার খেই হারানো। কথাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজন ফিলার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ। তা অর্জনের জন্য যে সব প্রচেষ্টা চালানো যেতে পারে, তার ভেতর অন্যতম, কথা শুরুর আগে বক্তব্য আগে ভালোভাবে ভেবে নেওয়া, যাতে করে মাঝপথে চিন্তার খেই না হারায়।
দ্বিতীয়ত, নির্দিষ্ট কোনো অভীষ্ট না থাকলে কথার গতি অনেক বেশি দ্রুত না করা। এতে করে বলা ও চিন্তা করার মধ্যকার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হয়।
ফিলারের ব্যবহার হলেও তা যেন হয় শ্রুতিমধুর উপায়ে উপস্থাপন, সেই দিকে নজর দেওয়া। চমৎকার অনেক বাগ্মীকে দেখা যায় আওয়াজ জাতীয় ফিলার যেমন Um, Ur ইত্যাদি ব্যবহার করতে; কিন্তু তাদের সেই ব্যবহার হয় নান্দনিক উপায়ে, এমনকি ফিলার ব্যবহারের জন্য তাদের কথা বলার ধরনে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়।
সবশেষ, নিয়মিত ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করা। সেই চর্চার একটা লক্ষ্য যাতে হয় নিজের ভাবনার ধীরস্থির উপস্থাপন। এ ক্ষেত্রে শুরুর দিককার চর্চায়, কাগজে বক্তব্যের আলোচ্য অংশগুলোর নোট নেওয়া যেতে পারে। আরও নোট নেওয়া যেতে পারে বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ বাক্য এবং শব্দের।
অন্যদিকে, ইংরেজিতে কথা বলতে গিয়ে অনেকে বারবার আটকে যায় মূলত ভয়ের কারণে যে কী বলবেন, বা যা বলবেন সেটা ঠিক হবে কি না, এই জাতীয় শঙ্কার কারণে।
এ ক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, সঠিকভাবে কথা বলার দক্ষতা কথা বলতে বলতে অর্জন করতে হয়। তাই ভুল হলেও বলে ফেলা এবং পরবর্তীতে ভুলটা বুঝে নিয়ে তা ঠিক করে পুনরায় বলা কিংবা ভুলের পুনরাবৃত্তি না করা।
একইসঙ্গে প্রয়োজন বিভিন্ন পরিস্থিতি মাথায় নিয়ে ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করা। এতে নানাবিধ বিষয়ে ইংরেজিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় দিক যেমন, সঠিক বাক্য, শব্দের ওপর দখল নেওয়া যায়।
তাই, ভয় না পেয়ে এবং নিয়মিত চর্চা করে যদি ফিলারের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেউ ইংরেজিতে কথা বলার দখল অর্জন করতে পারে, তবে তার কথা বলার যোগ্যতা নিশ্চিতভাবেই অনুসরণীয় হয়ে উঠবে।
Comments