হলে যুবককে আটকে রেখে অর্থ আদায়-মারধর, অভিযুক্ত নেতাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম বরকত হলে বহিরাগত এক যুবককে আটকে রেখে অর্থ আদায়সহ মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
বহিষ্কৃত অসিত পাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তবে, তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িতের অভিযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা।
জাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তাকে ২ মাস আগে থেকেই ছাত্রলীগের ব্লক থেকে নেমে যেতে বলা হয়েছিল। এখন দাপ্তরিকভাবে বহিষ্কার করা হলো। সংগঠন-বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকায় এই বহিষ্কার।'
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি তিতুমীর কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী শেখ ওয়ালিউল্লাহকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম বরকত হলে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
লিখিত অভিযোগে ওয়ালিউল্লাহ বলেন, সেদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর বাসাবো থেকে অনাবিল বাসে ওঠেন তিনি। বাসে পাশের আসনে বসে থাকা একজন তাকে অজ্ঞান করেন। ৫ ঘণ্টা তিনি অচেতন ছিলেন। হুঁশ ফেরার পর তিনি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের কক্ষে দেখতে পান। এ সময় ওই কক্ষে থাকা ৪ জন যুবক তাকে বেধড়ক মারধর করে নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেন। পরে বিকাশের মাধ্যমে আরও ৫ হাজার টাকা আদায় করেন। খবর পেয়ে হল প্রশাসন তাকে উদ্ধার করে।
শহীদ সালাম বরকত হল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সে রাতেই হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওয়ালিউল্লাহর মাধ্যমে হলের ওই কক্ষটি চিহ্নিত করা হয়। পরে হলের 'এ' ব্লকের ২১৪ নম্বর কক্ষে তল্লাশি করে সেখানে ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামসহ লোহার পাইপ, চাকু উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অসিত পাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২১৪ নম্বর কক্ষে আমি থাকতাম। কিন্তু ৩ মাস আগে ওই কক্ষ আমি ছেড়ে দিই। ঘটনার দিন পরিচিত ৩ জন ওয়ালিউল্লাহকে নিয়ে ওই কক্ষটিতে যায়। সেখানে হালকা মারপিট হয় এ সময় আমি হলের বাইরে ছিলাম। তার কাছ থেকে মাত্র ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল।'
উল্লেখ্য, সংগঠনবিরোধী ও অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন ইউনিট থেকে ২১ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
আজ রোববার এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
Comments