মহানগর ও জেলা শহরের ৩,৩৯১ মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি কেন্দ্রীয় লটারিতে

দেশের মহানগর ও জেলা সদরের ২ হাজার ৮৫১টি বেসরকারি এবং ৫৪০টি সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে লটারি হবে।

এসবের বাইরে যেসব স্কুল আছে সেগুলোতেও লটারি করতে হবে। তবে এর জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক উইং) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঢাকার মিশনারিজ স্কুলগুলো যেমন হলিক্রস, সেন্ট যোসেফ, সেন্ট গ্রেগরি এসব স্কুল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লটারি করার অনুমোদন পেয়েছে।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য মতে, দেশে মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৭৪টি। সেগুলোর মধ্যে সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৬২১টি।    

শুধু ৩ হাজার ৩৯১টি স্কুলকে কেন্দ্রীয় লটারির আওতায় আনা হচ্ছে বাকীগুলোকে আনা হচ্ছে না কেন, জানতে চাইলে বেলাল হোসাইন বলেন, 'মূলত যেসব স্কুলে প্রতিযোগিতা বেশি সেসব স্কুলে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকী স্কুলগুলো ধীরে ধরে কেন্দ্রীয় লটারির আওতায় আনা হবে। যদি কোনো স্কুল লটারি না করে, জানতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

বেলাল হোসাইন বলেন, 'ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের মহানগরী পর্যায়ের বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা ও জেলা সদরের সদর উপজেলার যেসব বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেনি, ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে সেসব প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিতে হবে। লটারি অনুষ্ঠানের দিন অবশ্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা মাউশি অধিদপ্তরের প্রতিনিধি উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।'

'এছাড়া ঢাকা মহানগরী ব্যতীত কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া বাইরের প্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত (ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী) ভর্তি কমিটির প্রতিনিধির উপস্থিতিতে লটারি কার্যক্রমের আয়োজন করতে হবে,' তিনি যোগ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Public admin reforms: Cluster system may be proposed for ministries

The Public Administration Reform Commission is likely to recommend reducing the number of ministries and divisions to 30 from 55 to improve coordination and slash the government’s operational cost.

6h ago