প্রশ্নফাঁস: গ্রেপ্তার পিয়ন ও ৫ শিক্ষক বরখাস্ত 

কুড়িগ্রাম
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষক ও ১ পিয়নকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি। 

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান রোববার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার ওই ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে পলাতক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আবু হানিফের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

বরখাস্তকৃতরা হলেন-নেহাল উদ্দিন পাইলট বা‌লিকা উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক ও পরীক্ষা কেন্দ্রস‌চিব লুৎফর রহমান, ইং‌রে‌জি শিক্ষক রা‌সেল আহমেদ, ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক জোবা‌য়ের‌ হোসেন, কৃষি শিক্ষার শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাংলা শিক্ষক সোহেল চৌধুরী ও পিয়ন সুজন মিয়া।

তারা বর্তমানে কুড়িগ্রামে জেলা কারাগারে আছেন। 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান জানান, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আরও কোন শিক্ষক বা কর্মচারী গ্রেপ্তার হলে তারাও সাময়িক বরখাস্ত হবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায়। 

স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রুজেন শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করতে দেরি হয়েছে বলে তিনি জানান। 

এদিকে ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ৭ জনের নামে ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। পলাতক আসামি বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আবু হানিফকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।'

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরীক্ষা কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমানকে রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে শুনানি হবে বলে ওসি জানান।

ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বা‌লিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসির ইং‌রে‌জি প্রথম ও দ্বিতীয় প‌ত্রের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা শুরুর আগেই ওই কে‌ন্দ্রের বাই‌রে প্রশ্নের অনুলিপি পাওয়া যায়, যার সঙ্গে বোর্ডের প্রশ্নপত্রের পুরোপুরি মিল পাওয়া যায়।

 

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

25m ago