উপাচার্যকে বাসভবন ছাড়তে আল্টিমেটাম কুয়েট শিক্ষার্থীদের

উপাচার্যের পদত্যাগ ও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ২০ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: হাবিবুর রহমান

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে তার বাসভবন ছাড়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে বাড়ি ছেড়ে না গেলে শিক্ষার্থীরা বাসভবনে তালা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের বাসভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, রাত ১১টার দিকে আমরা খবর পাই ভিসির বাসভবনের তালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। উপাচার্যসহ আরও কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি বাসভবনে ঢুকেছেন।

তিনি বলেন, সেখানে গিয়ে আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তারা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকেছেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্যের কোনো অধিকার নেই বাসভবনে থাকার। নতুন উপাচার্য না পাওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে তালা দিয়ে রাখব।

তারা আরও বলেন, মাসুদ স্যার আমাদের ভিসি না, আমরা ভিসি হিসেবে মাসুদ স্যারকে বর্জন করেছি। তাই তিনি ভিসির বাসভবনে ঢুকতে পারবে না। সেখানে যারা অবস্থান করছেন তাদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সময় বেঁধে দিয়েছি।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, উপাচার্যকে বর্জন করায় তার নিয়োগ দেওয়া তদন্ত কমিটিকে আমরা কেউ গ্রহণ করছি না। এখানে ভিসি তার আস্থাভাজন, আন্দোলনে বিতর্কিত শিক্ষকদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এই তদন্ত কমিটিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং এই কমিটির প্রতিবেদন আমরা মানব না।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কুয়েট ছাত্রদল এবং স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর চাপাতি, রামদা, পিস্তল দিয়ে হামলা চালায়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় কুয়েটের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালককে বর্জনের ঘোষণা দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

পরে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তের সময় ৭ দিন বৃদ্ধি:

কুয়েটের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে আরও ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সভাপতি এবং কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. এম. এম. এ. হাসেমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানো হয়।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় এই কমিটি গঠন করে তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। গত শনিবার ছিল প্রতিবেদন দাখিলের শেষ দিন।

 

Comments

The Daily Star  | English
problems faced by Bangladeshi passport holders

The sorry state of our green passports

Bangladeshi passports are ranked among the weakest in the world.

8h ago