পুরান ঢাকায় শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত অন্তত ৩০
রাজধানীর পুরান ঢাকার কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ, নটরডেম কলেজসহ বেশকিছু কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শিক্ষার্থীরা কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালায়। এ হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে প্রথম হামলা চালায়।
হামলায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কারসহ ৫টি যানবাহন ভাঙচুর ও কলেজের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করা হয় বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডিএমআরসি কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই হাসপাতালের সামনে বুধবার থেকে বিক্ষোভ করছিল ডিএমআরসি কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু, কবি নজরুল ও সোহরাওয়াদী কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিক্ষোভরতদের ওপর হামলা করে।
এ হামলার প্রতিবাদে আজ দুপুরে ডিএমআরসি কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, নটরডেম কলেজসহ ঢাকার বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা করে।
পরে উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং বিকেল পর্যন্ত তা চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিক্ষোভকারী এক শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকালে ডিএমআরসি ও আশেপাশের কলেজগুলো ন্যাশনাল মেডিক্যালের সামনে বিক্ষোভ করতে গেলে কবি নজরুলের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়। পরে আমরা সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের হামলার জবাবে তাদের প্রতিহত করি। এতে এখন পর্যন্ত আমাদের প্রায় ২৫-৩০ জন আহত হয়েছে।'
জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ পরীক্ষা ছিল। গতকাল রাতে ডিএমআরসি কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছিল যে, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছে, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কিছু হবে না। কিন্তু আজ দুপুর সোয়া ১টায় কিছু বোঝার আগেই সিসিটিভিতে দেখি প্রচুর ছেলেমেয়ে এসেছে। গেট ভেঙে ঢুকেছে। ইচ্ছামতো ভাঙচুর করেছে, গাড়ি ভাঙচুর করেছে। গ্যাস লাইন ছেড়ে দিয়েছে।'
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ন্যাশনাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ডিএমআরসি কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আপাতত ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।'
Comments