বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি

তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন

তিতুমীর কলেজের প্রবেশদ্বার বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। ছবি: স্টার

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

সাকিব শেখ নামে এক শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আজ ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছি এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করছি। নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা ভেবে আমরা আজ আমরা সড়ক অবরোধ করছি না।'

আরেক শিক্ষার্থী আলী আহমেদ বলেন, 'আমরা এখন আমাদের দাবির বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া জানার অপেক্ষায় আছি।'

ক্যাম্পাসের ভেতর শিক্ষার্থীদের মিছিল। ছবি: স্টার

তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি আমাদের দাবি যৌক্তিক। আমাদের পাঁচটি হোস্টেল আছে এবং কলেজ শাখা নেই। এখানে শুধু অনার্স এবং মাস্টার্স পর্যায়ের কার্যক্রম চলমান আছে।'

কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী এহতেশাম নোমান বলেন, 'এ বিষয়ে সরকার থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে আমরা আমাদের "বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী" অবরোধ কর্মসূচি আবার শুরু করব।'

বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় গতকাল সাড়ে চার ঘণ্টা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর আড়াই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সন্ধ্যায় আবার সড়ক অবরোধ করেন এবং পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা কোনো ধরনের ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

অবরোধের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে প্রায় সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। মহাখালী উড়ালসড়ক ও এর নিচের বিমানবন্দর সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। দিনভর চরম ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া সাধারণ যাত্রীরা।

অবরোধের শুরুতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে কমলাপুরগামী একটি ট্রেন দ্রুতগতিতে মহাখালী রেলক্রসিং অতিক্রম করে। রেলপথ অবরোধ করা শিক্ষার্থীরা তখন ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেনে পাথর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে ট্রেনে থাকা কয়েকজন যাত্রী আহত হন এবং ট্রেনের কিছু জানালার কাচ ভেঙে যায়।

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

10h ago