চবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ সমন্বয়কের পদত্যাগ

চবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ সমন্বয়কের পদত্যাগ
আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ সমন্বয়ক | ছবি: সংগৃহীত

সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সমন্বয়ক ও চারজন সহসমন্বয়ক পদত্যাগ করেছেন৷

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা পদত্যাগে ঘোষণা দেন।

এরা হলেন—সমন্বয়ক সুমাইয়া শিকদার এবং সহসমন্বয়ক ধ্রুব বড়ুয়া, আল মাশনূন, সাইদুজ্জামান ও ঈশা দে।

তারা কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ ও সহসমন্বয়ক খান তালাদ মাহমুদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আল মাশনূন। তিনি বলেন, আন্দোলন চলাকালে সমন্বয়ক ছিলেন ২২ জন। তবে ৫ আগস্ট সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ৩০ জন। নতুন যে আটজন কমিটিতে যুক্ত হয়েছে, তাদের বিষয়ে দুই সমন্বয়ক কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। তারা মনে করেন, সমন্বয়করা সৎ না। ক্যাম্পাস সংস্কারের কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়েও তারা তৎপর না।

আল মাশনূন আরও বলেন, উপাচার্য, সহউপাচার্য ও প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ তারাও চেয়েছিলেন। তবে সেটা ধাপে ধাপে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আসা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সব ধরনের লেজুড়বৃত্তিক ও দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যবস্থার পর যেন উপাচার্য পদত্যাগ করেন—এই দাবি ছিল তাদের। কিন্তু কোনো মতামতকে যাচাই-বাছাই না করেই সমন্বয়করা ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে ফেলেছেন। শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে সমালোচনার সঠিক কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।

লিখিত বক্তব্যে পদত্যাগ করা পাঁচ সমন্বয়ক উল্লেখ করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্বেগকে তারা সম্মান জানান। এ কারণে তারা নিজ নিজ সমন্বয়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। আগামীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যেসব কর্মসূচি হবে, এর সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীর যে কোনো দাবির পক্ষে থাকবেন। দেশ সংস্কারের কাজে প্রয়োজন হলে আবার আন্দোলনে যুক্ত হবেন।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch a party by next Feb

Student leaders who spearheaded the July-August mass uprising are planning to launch a political party by early February 2025 and contest the next general election.

7h ago