রাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে আহত প্রায় ২০০

আগুনে পুড়ছে বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়ি। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৫০ থেকে ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম। 

আজ শনিবার সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে রাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের সময় বিনোদপুর বাজারে কয়েকটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। তবে কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।'

শিক্ষার্থীরা জানান, বাসে বসাকে কেন্দ্র করে চালকের সহকারীদের সঙ্গে প্রথমে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। পরে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। 

সংঘর্ষে বেশ কিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এরমধ্যে বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে কারা এই আগুন দিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। 

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ২ সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। আহত ২ সাংবাদিক হলেন, রায়হান ইসলাম ও জাবের আহমেদ।

সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা চলছে। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে, বিনোদপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী বাসের হেলপার ও ড্রাইভারকে মারতে শুরু করেন। পরে তারা দৌড়ে পাশেই ইমরানের জুতার দোকানে গিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তখন ইমরান তাদের রক্ষার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। তখন অন্য দোকানিরা এগিয়ে এলে সবাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।' 

তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে ৩০টি দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের হামলায় কয়েকজন দোকানদার আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। আগুন লাগিয়ে দোকান পুড়িয়ে দিলেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।'

রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দুই পক্ষকে মারমুখো অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। তবে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Sagar-Runi murders: HC grants 6 more months to taskforce to end probe

Additional attorney general seeks nine-month time citing lost documents, staff transfers

22m ago