চবি সিন্ডিকেট নির্বাচন: শিক্ষকদের ৪ পদের ৩টিতে আ. লীগ-বামপন্থী, ১টিতে জামায়াত

চবি সিন্ডিকেট নির্বাচনে জয়ী শিক্ষক (বাম থেকে) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, সহযোগী অধ্যাপক ড. নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও প্রভাষক মোয়াজ্জেম হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের শিক্ষক ক্যাটাগরির ৪টি পদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ৩টিতে আওয়ামী লীগ ও বামপন্থীরা এবং ১টি ক্যাটাগরিতে বিএনপি-জামায়াত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অডিটোরিয়ামে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দলের ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ৯১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

এদিকে সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী ড. নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব ১০০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। সহকারী অধ্যাপক পদে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের হলুদ দলের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ৮৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রভাষক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসাইন ৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

বিকেল সাড়ে ৩টায় গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কে এম নুর আহমদ।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের রাজনীতি ৩টি দলে বিভক্ত। এগুলো হলো-আওয়ামী ও বামপন্থীদের হলুদ দল এবং বিএনপি ও জামায়াত-পন্থীদের সাদা দল। তাদের একাংশ শুধু বিএনপি-পন্থীদের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট। শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নতি থেকে শুরু করে সব সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট। উপাচার্য এ পর্ষদের সভাপতি। বর্তমানে এ পর্ষদে পদ রয়েছে ১৬টি। ৪ শূন্য পদের বিপরীতে নির্বাচন হওয়ার পরও, আরও ৫টি পদ শূন্য আছে। মেয়াদোত্তীর্ন সদস্য আছেন একজন।

Comments