হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হলের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল (এক্সটেনশন) হলের একাংশ লাঠিসোটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ঢুকে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ২ আবাসিক হলের কিছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ২ গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল (এক্সটেনশন) হলের একাংশ লাঠিসোটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ঢুকে পড়ে। এসময় শিক্ষকদের সামনেই হট্টগোল ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

উপস্থিত শিক্ষকরা এসময় বিশৃঙ্খলা থামানোর চেষ্টা করলেও উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। ঘটনাক্রমে ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২ আবাসিক শিক্ষার্থী আহত হয়।

এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে, আহত শিক্ষার্থীর বন্ধুরা ও ডরমিটরি-২ এর আবাসিক শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল এক্সটেনশন আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।

পরে ২ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে আসলে ২ পক্ষের মাঝে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের মোবাইল ফোন করা হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ড. শামীম হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আজকের পুরো ঘটনাটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছিল। ঘটনাক্রমে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ ও হল সুপারসহ ২ হলের ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির মীমাংসা করি। এসময়ের ২ হলের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীরা এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আর জড়িয়ে পড়বে না বলে লিখিত দেয় এবং যারা অনুষদের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলার ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
 

Comments

The Daily Star  | English

The wrongs of past 15yrs must be righted

The Daily Star spoke to BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir on a host of issues ranging from elections to media freedom 

14h ago