প্রভোস্টের অপসারণ দাবিতে কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্টের অপসারণের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পরে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।
এর নেতৃত্ব দেন মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা ও সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আঁখি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রভোস্ট অধ্যাপক নাজমুন নাহার হলের শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর রাখেন না। আসন বরাদ্দ নিয়ে সমস্যা এবং ক্যান্টিনের খাবারের মান খারাপ হলেও, তিনি শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে উদাসীন।
কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হলের প্রভোস্ট আমাদের বিষয়ে কোনো খোঁজ-খবর নেন না। কয়েকদিন আগে আমাদের হলে আগুন লাগে। সেদিনও প্রভোস্ট ম্যাডাম হলে দেরি করে আসেন।'
এদিকে মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাহিদা লুনা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হলে যান। কিন্তু মন্ত্রীর জন্য হলে বসার ব্যবস্থা ছিল না। হল প্রভোস্ট অধ্যাপক নাজমুন নাহার সে সময় হলে ছিলেন না। এসব কারণে আমরা তার অপসারণের দাবি তুলেছি।'
রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যান এবং বিক্ষোভ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
পরে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিরা দেখা করে দাবি উপস্থাপন করেন এবং সাড়ে ১১টার দিকে হলে ফিরে যান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নাজমুন নাহারকে ফোন করা হলেও, তিনি রিসিভ করেননি।
সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের একটি অংশ উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের দাবিগুলো আমরা আলাদা করে শুনেছি। বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে আলাপ করেন।'
'উপাচার্য দাবিগুলো শুনেছেন' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আশা করছি তিনি বিষয়গুলো নিয়ে হল প্রশাসনের সঙ্গে বসবেন এবং আলোচনা করবেন।'
Comments