চবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় হট্টগোল-হাতাহাতি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা চলাকালে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।  

আজ রোববার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ সভা হয়। 

বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির প্রয়োজনীয়তা ও সরকার পতনের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সচল না হওয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করায় হট্টগোল শুরু হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, সমন্বয়কদের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করায় তাদের আওয়ামী লীগের দোসর 'ট্যাগ' দেওয়া হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও হট্টগোলের সূত্রপাত।

সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১০ মিনিট হট্টগোল চলার পর সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুরোধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, 'আমাদের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করতে হবে এটা আমরা চাই না। আমরা চাই দ্বিমত প্রকাশ অব্যাহত থাকুক। দ্বিমত প্রকাশের মধ্যে দিয়েই আমরা সমাধানে পৌঁছাতে পারব। অন্যথায় সম্ভব না।'

এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'আমরা যদি রাজনৈতিক দল গঠন করি, তাহলে আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ কেমন হবে, তা নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে। নয়তো একটা প্রশাসনিক ফ্যাসিস্ট কাঠামো তৈরি হবে।'

তিনি বলেন, 'এখন প্রশ্ন এসেছে, আপনারা যে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করবেন সেটি ২০২৪ কে ভিত্তি করে হবে, নাকি ১৯৭১ কে ভিত্তি করে হবে? ১৯৭১ কে ভিত্তি করে যদি করেন তাহলে সেটি ছিল আওয়ামী বয়ানের ওপর প্রতিষ্ঠিত। মুক্তিযুদ্ধ কি শুধু আওয়ামী লীগের ছিল? সংবিধানের দিকে দেখেন, সংবিধানটা লেখা হয়েছে ১৯৭০ এর নির্বাচনের ভিত্তিতে। আর ৭০ এর প্রতিনিধি ছিল আওয়ামী লীগ।  তাহলে সংবিধানটা কি সর্বজনীন হয়েছে?'

'এগুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হতে পারে। বিতর্ক হতে পারে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে, চিন্তা করতে হবে,' বলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

এ সময় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ, সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

4h ago