বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় কলেজে ভাঙচুর চালাল ছাত্রলীগ-ছাত্রদল

বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় কলেজে ভাঙচুর চালাল ছাত্রলীগ-ছাত্রদল
কলেজের বার্ষিক মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় প্যান্ডেল, তোরণ ও চেয়ার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখার ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা/স্টার

কলেজের বার্ষিক মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় প্যান্ডেল, তোরণ ও চেয়ার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখার ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এসময় নেতাকর্মীরা কলেজের দুই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

আজ বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সরকারি কলেজে এ ঘটনা ঘটে। 

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'দুপুরে কলেজের মিলনায়তনে মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের কলেজ কমিটির নেতারা দুই দলের ৩ জন করে মোট ৬ জনকে বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে শিক্ষকেরা ২ সংগঠনের  একজন করে দুজনকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে পারবেন বলে জানান। পরে অনুষ্ঠান শুরু হলে শিক্ষকেরা দুই সংগঠনের একজন করে নেতাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য মাইকে ডাকেন। কিন্তু তাদের কেউ যাননি।'

'পরে অনুষ্ঠান শেষে যখন শিরনি বিতরণ চলছিল তখন দুই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল, তোরণ ও চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় বাধা দিলে তারা বদরুল ইসলাম ও জুয়েল আহমদ নামের কলেজের দুই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন,' বলেন তিনি।

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হবে বলে জানান তিনি। 

ভাঙচুরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মৌসুম সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রসংগঠনের নেতাদের বক্তব্য রাখার সুযোগ না দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভাঙচুর চালান।'

কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার বকস বলেন, 'শুনেছি ছাত্রলীগ নামধারী কয়েকজন অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে মিলে ভাঙচুর চালিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই।'

এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি আবদুছ ছালেক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Over 45 lakh cases pending in courts

Each HC judge is burdened with 6,552 cases, while Appellate Division judges are handling 4,446 cases each, and lower court judges 1,977 cases each.

1d ago