ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগ চাওয়ায় শিক্ষকের ব্যক্তিগত ‘নথি তলবে’ নিন্দা

মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের বিভাগীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে ব্যক্তিগত নথি নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বামপন্থী কয়েকটি সংগঠন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগের সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে গত সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সংগঠনের পক্ষে স্মারকলিপি দেওয়া পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঢাবি প্রক্টর তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।

তানজীমউদ্দিনের অভিযোগ, প্রক্টরের পদত্যাগ চাওয়ায় তার কার্যালয় থেকে দুজন কর্মকর্তা-কর্মচারী তার বিভাগীয় কার্যালয়ে গিয়ে তল্লাশি চালান।

তবে প্রক্টরের দাবি, তার অফিসের একজন কর্মকর্তা তানজীমউদ্দিন খানের বাবার নাম জানতে বিভাগে গিয়েছেন। ব্যক্তিগত নথি চাওয়ার বিষয় সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না।

এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আজ বিবৃতি দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল।

বিবৃতিতে ছাত্র ফ্রন্টের নেতারা বলেন, বিভাগীয় অফিস থেকে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত তথ্য তলব করার কোনো এখতিয়ার নেই প্রক্টরের। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রক্টর তার সহকর্মীর সঙ্গে অশিক্ষকসুলভ আচরণ করছেন। অতীতেও দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধু শিক্ষকদের সঙ্গেই নয়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরও নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করে। প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যৌক্তিক দাবির আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা সেটাকে প্রতিরোধ করবে।'

তারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে এরকম এখতিয়ার বহির্ভূত ও অশিক্ষকসুলভ আচরণের জন্য প্রক্টরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হীন চর্চা বন্ধ ও স্বাধীন মত প্রকাশের উপযোগী গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণে ছাত্র-শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়৷

 

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

4h ago