প্রোগ্রামিং হ্যাকাথনে সেরা দলের জন্য জাপানে ইন্টার্নের সুযোগ

হ্যাকাথন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিযোগিতার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

দেশে এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো প্রোগ্রামিং হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। প্রতিযোগিতায় সেরা দলের জন্য পুরস্কার হিসেবে থাকছে ১০ লাখ টাকা এবং জাপানে গিয়ে ইন্টার্ন করার সুযোগ।

এ বছর ২০-২১ ডিসেম্বর হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং বাংলাদেশ-জাপান ভেঞ্চার কোম্পানি বিজেআইটিসহ বেশ কয়েকটি জাপানি আইটি প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে।

আজ বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলবে। 

এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রস্তাবিত একটি বৈশ্বিক অথবা স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আইডিয়া এবং এর জন্য সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান খুঁজে বের করা হয়। 

কোড সামুরাই ২০২২ নামে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা সেরকম একটি বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের সুযোগ পাবেন বলে জানান আয়োজকরা। 

জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি উদযাপনের লক্ষ্যে কোড সামুরাই এ বছর নতুন সংস্করণ নিয়ে ফিরে আসছে। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই ইভেন্টে সেরা দলের জন্য ১০ লাখ টাকার পুরস্কার জিতে নেওয়ার সুযোগ আছে। অংশগ্রহণকারীর জন্য আছে বিশেষ স্বীকৃতি। 

এছাড়া, জাপানে ইন্টার্নশীপ এবং আইটিতে ক্যারিয়ার তৈরির ব্যবস্থা আছে। 

২০১৯ সালে এই হ্যাকাথনের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে পরপর দুবছর এ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। 

ঢাবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক ড. উপমা কবির বলেন, 'জাপানের এই আইটি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে তরুণ মেধাবী আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিতে আগ্রহী। এই ইভেন্ট জাপানি আইটি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার এবং বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি প্রতিভাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একটি মাইলফলক হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ এবং বিজেআইটির চিফ অপারেশনস অফিসার মেহেদি মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

5h ago