ফেসবুকে কাউকে এড়িয়ে যাওয়ার ৫ কৌশল

ছবি: সংগৃহীত

নিত্যদিনের জীবনে একটি বড় জায়গা করে নিয়েছে ফেসবুক। আমরা কোথায় যাচ্ছি, কী করছি, কী খাচ্ছি– এমনকি কার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন, অনেকের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এ তথ্যও পাওয়া যায়।

তবে ফেসবুকের বিভিন্ন তথ্য নিয়ন্ত্রণ করার উপায় আছে। এই ৫টি কৌশল মেনে চললে ব্যক্তিগত অনেক গোপনীয়তা রক্ষা করা যায়।

১. পোস্টের প্রাইভেসি নির্ধারণ

প্রতিটি পোস্টের আলাদা করে প্রাইভেসি নির্ধারণ করা যায়। ফেসবুকে মোট ৫ ধরনের প্রাইভেসি অপশন আছে– পাবলিক, ফ্রেন্ডস, ফ্রেন্ডস এক্সেপ্ট, ওনলি মি ও কাস্টম। 'পাবলিক' প্রাইভেসিতে বন্ধু তালিকার বাইরের মানুষজনও পোস্টটি দেখতে পারেন, 'ফ্রেন্ডস' প্রাইভেসিতে শুধু বন্ধু তালিকার লোকজন পোস্ট দেখতে পারেন। 'ফ্রেন্ডস এক্সেপ্ট' প্রাইভেসিতে বন্ধু তালিকায় থাকলেও তারা পোস্ট দেখতে পারবেন না। 'ওনলি মি' প্রাইভেসিতে শুধু পোস্ট প্রদানকারী এবং 'কাস্টম' অপশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু লোককে উদ্দেশ করে পোস্ট দেওয়া যায়। শুধু আলাদা পোস্ট নয়, প্রোফাইলে থাকা যেকোনো তথ্য যেমন ইমেইল অ্যাড্রেস, ফোন নাম্বার, ঠিকানা, পড়াশোনা বা পেশা সংক্রান্ত তথ্য, জন্ম তারিখ ইত্যাদি বিষয়েও বিভিন্ন প্রাইভেসি বাছাই করে দেওয়া যায়।

২. প্রোফাইল সার্চ লিমিট

ব্যক্তিজীবন বা কর্মজীবনে আমরা এমন অনেককেই চিনি, যাদের কাছে আমাদের ফেসবুক প্রোফাইল সম্পর্কে কোনো তথ্য শেয়ার করতে চাই না। এমনকি আমাদের যে ফেসবুক প্রোফাইল আছে, সে বিষয়টিও তাদের জানতে দিতে চাই না। কিন্তু সৌজন্যের খাতিরে তাদেরকে মুখের উপর কিছু বলাও যায় না। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় হচ্ছে, আগে থেকেই প্রোফাইলের 'সার্চ লিমিট' ঠিক করে নেওয়া। কেননা ফোন নাম্বার থাকলেই সাধারণত 'পিপল ইউ মে নো' তালিকায় ফেসবুক প্রোফাইল চলে আসার একটা সম্ভাবনা থাকে। প্রোফাইলের নাম অনুসন্ধান সীমাবদ্ধ করার জন্য সেটিংসে গিয়ে 'অডিয়েন্স অ্যান্ড ভিজিবিলিটি' অপশনে নিজের সুবিধা মতো পরিবর্তন করে নিতে হবে।

৩. ম্যাসেজিং প্রাইভেসি নির্ধারণ

অযাচিত বার্তা পেতে কেউই চায় না। তা সে সামনাসামনিই হোক বা ডিজিটাল পর্দার আড়াল থেকে কোনো সামাজিক মাধ্যমের ইনবক্সে। তাই ম্যাসেজিং প্রাইভেসি সীমাবদ্ধ করে দেওয়াটা এক্ষেত্রে খুবই দরকারি। কাউকে ব্লক না করেও তার বার্তাটি ম্যাসেজ রিকোয়েস্টে রেখে দেওয়ার মাধ্যমে এড়িয়ে যাওয়া যায়। এছাড়া ম্যাসেজ আর্কাইভ করে দেওয়াও সাময়িক কার্যকর একটি কৌশল।

৪. আনফ্রেন্ড করা

বন্ধু তালিকায় অনেকেই থাকেন, যাদের সেখানে থাকাটা একসময় আর আরামদায়ক মনে হয় না। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে তাদেরকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া, কেননা অন্যের জন্য বারবার নিজের পোস্টের প্রাইভেসি 'কাস্টম' বা 'ফ্রেন্ডস এক্সেপ্ট'-এ দেওয়াটা স্বাচ্ছন্দ্যের নাই হতে পারে। সম্পর্ক বিগড়ে যাবার ভয় না থাকলে বা সে বিষয়ে খুব একটা পরোয়া না করলে আনফ্রেন্ড করার মাধ্যমে নিজের ফেসবুককে সীমাবদ্ধ ও সুরক্ষিত রাখা যায়। তবে সেক্ষেত্রে পোস্ট প্রাইভেসি 'ফ্রেন্ডস' রাখাটাই সমীচীন।

৫. ব্লক বা রেস্ট্রিক্ট করা

আনফ্রেন্ডের চূড়ান্ত পর্যায় বলা যায় ফেসবুকে কাউকে ব্লক বা রেস্ট্রিক্ট করে দেওয়াকে। দুই ধরনের ব্লক করা সম্ভব। প্রথমত, শুধু ম্যাসেজে ব্লক এবং দ্বিতীয়ত, সম্পূর্ণভাবে ফেসবুক প্রোফাইল ব্লক করে দেওয়া। ম্যাসেজে ব্লক করলেও যে কেউ প্রোফাইলের প্রাইভেসি অনুযায়ী কমেন্ট ও রিঅ্যাকশন প্রদান করতে পারবেন। তবে কাউকে ব্লক করলে সাধারণত তিনি বুঝতে পারেন। এ বিষয়টি এড়াতে চাইলে প্রোফাইল রেস্ট্রিক্ট করে দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ম্যাসেজ পাঠালেও সেটি এসে পৌঁছাবে না।

  

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

10h ago