ক্রিকেটার স্বর্ণার চুরি যাওয়া আইফোন উদ্ধার, চোর গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তারের মোবাইল ফোন ও ডলার চুরির ঘটনায় জড়িত আল আমিন দেওয়ান ওরফে আযানকে থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতের কাছ থেকে ৪টি আইফোনসহ ৫টি মোবাইল ফোন, প্রাইম ব্যাংকের ১টি চেক বইয়ের পাতা, প্রাইম ব্যাংকের ১টি মাস্টার কার্ড, বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রা, ৩টি হাতঘড়ি, ৪টি চেইন, ২টি আংটি ও ১টি হ্যান্ডব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
আজ বুধবার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, চুরির ঘটনায় ক্রিকেটার স্বর্ণার করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আরেক নারী ক্রিকেটারের স্বামী আল আমিনকে মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত মঙ্গলবার রাজধানীর তেজকুনীপাড়া খেলাঘর মাঠে স্বর্ণাসহ অন্যান্য ক্রিকেটাররা অনুশীলন করছিলেন।
সেদিন মাঠ থেকে স্বর্ণার দুটি আইফোন এবং বাসা থেকে সাড়ে ৩ হাজার মার্কিন ডলার, ব্যাংকের চেক বই ও ভিসা কার্ডসহ আরও কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আল-আমিন চুরির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার তথ্য দিয়েছে বলে র্যাব জানায়।
গ্রেপ্তারকৃতের ভাষ্য, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় স্বর্ণা তার ৩ রুমমেটসহ খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলাঘর মাঠে অনুশীলনে যান। আল আমিন সেসময় তাদের বাসায় অবস্থান করছিলেন।
পরে তিনি স্বর্ণার রুমের ওয়ারড্রবের ড্রয়ারের তালা ভেঙে ডলার, ১টি চেকবই, ভিসা কার্ড, রুমমেট অন্য নারী ক্রিকেটারের ব্যাগ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা তাদের ব্যবহৃত ব্যাগে করে নিয়ে বাসা থেকে বের হন।
পরে সকাল ১১টার দিকে আল আমিন খেলাঘর মাঠে যান। সেসময় ক্রিকেটারদের প্র্যাকটিসের ভিডিও করার কথা বলে স্বর্ণার মোবাইল ফোন দুটি ব্যাগ থেকে বের করে কিছুক্ষণ ছবি তুলে ফোন নিয়ে কৌশলে মাঠ থেকে পালিয়ে যান তিনি।
একটি আইফোন ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করে বাসে করে দিনাজপুর চলে যান আল আমিন।
এদিকে, প্র্যাকটিস শেষ করে স্বর্ণা নিজের ফোন ও আল আমিনকে না পেয়ে বাসায় ফিরে যান। পরে তারা বাসার ভেতরে ঢুকে ঘরের সব জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পান।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আল-আমিন গত ১২ জানুয়ারি আরেক নারী ক্রিকেটারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বর্ণা আক্তারসহ আরও তিন ক্রিকেটারের সঙ্গে এই নবদম্পতি রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে ঢাকা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন থানায় ৪টির বেশি মামলা আছে এবং তিনি ৩ বার বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন বলে র্যাব জানায়।
Comments